স্টাফ রিপোর্টার: গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে খাতাই খুলতে পারেনি বামেরা। কীভাবে খাদের কিনার থেকে দল ফিরে আসতে পারবে তার কোনও দিশা দেখাতে পারলেন না সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury)। মঙ্গলবার দলীয় মুখপত্রে প্রকাশিত তাঁর সাক্ষাৎকারে তাঁকে নানা বিষয়েই কথা বলতে দেখা গিয়েছে। কিন্তু দলের ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে কোনও পথের হদিশ ছিল অদৃশ্য।
উগ্র হিন্দুত্বকে রুখতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির ঐক্য গড়ার কথা বলেছেন ইয়েচুরি। তাঁর অভিযোগ, কর্পোরেট লুট আর সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়িয়ে দেশকে গুরুতর বিপদের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে মোদি সরকার। কিন্তু কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ‘বুলডোজার’ রাজনীতির কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে, তার কোনও সঠিক দিশা দিতে পারেননি ইয়েচুরি।
শুধু তাই নয়, বিজেপিকে (BJP) আটকাতে সিপিএমের ব্যর্থতা ঢাকতে বিভিন্ন রাজ্যের অবিজেপি দলগুলির ভূমিকাকে সেভাবে গুরুত্ব দিতে চাননি তিনি। একইসঙ্গে বাংলায় খাদের কিনারায় চলে যাওয়া পার্টিকে কীভাবে ঘুরে দাঁড় করানো সম্ভব, তার কোনও পথও সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক বাতলে দেননি ওই সাক্ষাৎকারে।
দেশে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সর্বোচ্চ ঐক্য গড়ে তুলতে সিপিএমের ভূমিকা প্রশ্নে কোনও সঠিক দিশা দেখাতে পারেননি ইয়েচুরি। তাঁর শুধু উত্তর, “সিপিএমের ভূমিকা হবে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলির যথাসম্ভব সর্বোচ্চ ঐক্য গড়ে তুলে উগ্র হিন্দুত্বের আক্রমণের মোকাবিলা করা। শুধু রাজনৈতিক দল নয়, এই ঐক্যে ইচ্ছুক সব শক্তির কথা বলা হচ্ছে।”
এবার বিধানসভার অন্দরে বামেরা শূন্য। তখন এ রাজ্যে তথা সারা দেশেই বামেদের ঘুরে দাঁড়ানোর কোনও পথের দিশা দেননি ইয়েচুরি। বরং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিজেপি বিরোধিতাকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে বামেরা দ্বিতীয় হওয়ায়, সেই উদাহরণ তুলে ধরে নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়ার তত্ত্ব খাড়া করতে চেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, আসানসোলে বামেদের দুরবস্থার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর কথায়, “তৃণমূল যে পদ্ধতি ও ইস্যু ব্যবহার করছে তাতে বিজেপিই শক্তিশালী হচ্ছে।” বামপন্থীরাই (Left front) বিকল্প বলায়, ইয়েচুরির যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলেও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.