বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: তৃণমূলের (TMC) নির্দেশ অমান্য করে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Vice President Polls) ভোট দিলেন অধিকারী পরিবারের দুই সদস্য। বিজেপি সূত্রে খবর, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান করেছেন শিশির এবং দিব্যেন্দু অধিকারী। জগদীপ ধনকড় বনাম মার্গারেট আলভার লড়াইয়ে দলীয় সাংসদদের ভোটদান থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee)। কিন্তু সে নির্দেশে কার্যত কর্ণপাত করলেন না কাঁথি এবং তমলুকের দুই সাংসদ।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন, “যারা দলের প্রতীকে জিতেছে তাঁদের উচিত দলের নির্দেশে মান্য করা। সেটা যদিও কেউ না করে, সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। বিষয়টির দিকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব এবং লোকসভার দলনেতা নিশ্চয়ই নজর রাখছেন।” যদিও ভোটদান নিয়ে দুই সাংসদের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন দুই সাংসদ। সোমবার লোকচক্ষু এড়িয়ে সংসদে পৌঁছে যান বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বাবা এবং ভাই। ভোটদানও করেন বলে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল এই নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বঙ্গের শাসকদলের তরফে জানান হয়, যেভাবে বিরোধীরা তাঁদের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বিনা আলোচনাতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আপত্তিজনক। তাই ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছিল। এই মর্মে দলের প্রত্যেক সাংসদকে চিঠি দিয়েছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশেষ বার্তা পৌঁছে যায় অধিকারী পরিবারের কাছেও।
প্রসঙ্গত, দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়লেও খাতায় কলমে শিশির এবং দিব্যেন্দু এখনও তৃণমূল সাংসদ। যদিও দুজনের বিরুদ্ধেই বিজেপি ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ রয়েছে। এমনকী, শিশিরের সাংসদ পদ খারিজের আরজিও জানিয়েছে তৃণমূল। তবে তা এখনও কার্যকর হয়নি। তাই ভোটদান থেকে বিরত থাকার জন্য দুই সাংসদকে চিঠি দিয়েছিলেন সুদীপ। তবে বলে রাখা দরকার, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হুইপ জারি করা যায় না। দলের নিময় ভেঙে দুই সাংসদের ভোটদানকে কটাক্ষ করে কুণাল ঘোষের প্রতিক্রিয়া, “ওঁরা তো দলের কেউ নয়। বিজেপির বন্ধু। বিজেপির ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা সাংসদ।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.