Advertisement
Advertisement

Breaking News

Ancient Coins

দেশে বিলুপ্ত চিতা ছেড়েছিলেন মোদি, সেই কুনো জাতীয় উদ্যানে উদ্ধার গুপ্তধন!

খননকাজে উদ্ধার দু'শো বছরের পুরনো রুপো ও ব্রোঞ্জের মুদ্রা!

Silver and Bronze Coins Unearthed From Kuno National Park Where Narendra Modi Released Cheetahs | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:October 22, 2022 1:31 pm
  • Updated:October 22, 2022 1:39 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসে যে কুনো জাতীয় উদ্যানে (Kuno National Park) নামিবিয়া (Namibia) থেকে আনা ৮টি চিতা (Cheetah) ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi), সেই অরণ্যে মিলল গুপ্তধনের সন্ধান! পাওয়া গিয়েছে প্রাচীন মুদ্রা (Ancient Coins)। মুদ্রাগুলি রুপো ও ব্রোঞ্জের বলে জানা গিয়েছে। বুধবার ওই উদ্যানে বিশেষ কারণে খননকাজের সময় একটি ঘড়ার মতো পুরনো পাত্র উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে মুদ্রাগুলি কমপক্ষে দু’শো বছরের পুরনো।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম জনিয়েছে, বুধবার জঙ্গলে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছিল। তখনই ওই কাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা গুপ্তধন পান। আসলে বেশ কয়েক ফুট মাটি খোঁড়ার পরে পুরনো আমলের একটি পাত্র মেলে। তাতে ছিল রুপো ও ব্রোঞ্জের দু’শো বছরের পুরনো মুদ্রা। জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার থেকে আর কাজে আসেননি শ্রমিকরা। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুদ্রার ছবি পোস্ট করেন কয়েকজন অতি উৎসাহী শ্রমিক, তা থেকেই গোটা ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। বিপাকে পড়েন শ্রমিকরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ধূসর তালিকা থেকে মুক্ত পাকিস্তান, কী প্রতিক্রিয়া ভারতের?]

জাতীয় উদ্যানের একটি দিকে রয়েছে পালপুর কেল্লা (Palpur Fort)। সেদিকেই মাটি খুঁড়ে মিলেছে প্রাচীন মুদ্রা, এমনটাই জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, কুনো জাতীয় উদ্যানের এই অঞ্চলেই গত সেপ্টেম্বরে ৮টি চিতা ছেড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিকে ঘটনার কথা জানার পরে পালপুরের রাজবংশের বর্তমান সদস্যরা দাবি করেছেন, ওই গুপ্তধন তাঁদের, যাবতীয় মুদ্রার তাঁদের ফিরিয়ে দিতে হবে।

পালপুর রাজবংশের এক সদস্য আর কে শ্রীগোপাল দেও সিংয়ের অভিযোগ, নিজেদের সম্পত্তির উপর যাতে আমরা কোনও দাবি না করতে পারি, তা নিশ্চিত করতে ষড়যন্ত্র করছে জাতীয় উদ্যান কর্তৃপক্ষ। এই বিষয়ে আদালতে যাবেন বলে বন দপ্তরের কর্তাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রীগোপাল। উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালে কুনোর জঙ্গলকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তখনই রাজ পরিবারের কেল্লার কাছের এলাকা এবং নিকটস্থ ২৪টি গ্রাম খালি করে দেওয়া হয়। যে অঞ্চলগুলি ছিল দেও সিং পরিবারের ‘জাগির’-ভুক্ত।স্বভাবতই এই সরকারি সিদ্ধান্ত পছন্দ হয়নি পরিবারটির। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement