সঞ্জীব মণ্ডল: সিকিমে প্যারাগ্লাইডিং দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়েছে প্যারাগ্লাইডিং চালকের। মৃতের নাম সন্তোষ রাই (৩৭)। দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভরতি বছর এগারোর কিশোর। জখম কিশোর কলকাতার ভবানীপুরের বাসিন্দা সঞ্জীব ওঝার ছেলে। এই মুহূর্তে গ্যাংটক সদর হাসপাতালে ওই কিশোরের চিকিৎসা চলছে। প্রয়োজনে তাকে কলকাতায়ও নিয়ে যাওয়া হতে পারে। গোটা ঘটনায় সর্বতোভাবে সহযোগিতা করছে স্থানীয় প্যারাগ্লাইডিং অ্যাসোসিয়েশন।
জানা গিয়েছে, পরিবার নিয়ে সিকিমে বেড়াতে গিয়েছিলেন কলকাতার সঞ্জীব ওঝা। বেড়াতে গিয়ে গ্যাংটক থেকে দশ কিলোমিটার দূরত্বের খেলগাঁওতে যান। খেলগাঁওয়ের স্পোর্টস কমপ্লেক্স গ্যালারিটি ঋষিথাংয়ে অবস্থিত। ওই কমপ্লেক্স গ্যালারি থেকেই প্যারাগ্লাইডিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। মূলত গ্যাংটকের নৈসর্গিক শোভা দেখার জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। ব্যবস্থাপনায় রয়েছে প্যারাগ্লাইডিং অ্যাসোসিয়েশন। বুধবার সঞ্জীববাবুর ছেলেও চালকের সঙ্গে প্যারাগ্লাইডিংয়ে যায়। প্যারাগ্লাইডিং শেষে যখন খেলগাঁও স্পোর্টস কমপ্লেক্সের গ্যালারিতে নামছে, তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গ্যালারিতে ধাক্কা লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চালক সন্তোষ রাইয়ের।
অ্যাসোসিয়েশন সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্তোষ রাই প্রশিক্ষিত চালক। তিনি ছ’বছর ধরে এই পেশায় রয়েছেন। দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এরকম কোনও সূত্র আগে পাওয়া যায়নি। থাকলে নিশ্চয়ই তিনি অ্যাসোসিয়শনকে জানাতেন। তবে ল্যান্ডিংয়ের সময় দুর্ঘটনার আঁচ পেয়েছিলেন। তাই শেষ মুহূর্তে ওই কিশোরকে বাঁচানোর চেষ্টাও করেন। যার পরিণতি সন্তোষ রাইয়ের মৃত্যু ডেকে এনেছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দেহ ফিরলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই প্রসঙ্গে আহত কিশোরের বাবা সঞ্জীব ওঝা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর থেকেই সব ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেন। সিকিম প্রশাসন, প্যারাগ্লাইডিং অ্যাসোসিয়েশন, স্বাস্থ্য দপ্তর সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত চিকিৎসার খরচের ভার বহন করছে অ্যাসোসিয়েশন। চিকিৎসা চলছে সিকিমের সিআরএইচ হাসপাতালে। প্রয়োজনে কলকাতাতেও নিয়ে আসা হতে পারে। এদিকে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে গ্যাংটক থানার পুলিশ। এমনটাই জানিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক রোশন প্রধান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.