সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার্ম ফিকে পবন চামলিংয়ের। প্রায় আড়াই দশক পর ক্ষমতাচ্যুত হতে চলেছে এসডিএফ (সিকিম ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট)। বৃহস্পতিবার, ফল ঘোষণার পর দেখা গেল সিকিমের রাশ আর বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিংয়ের হাতে থাকছে না।
[দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর আগে আডবানী-যোশীর বাড়িতে মোদি]
লোকসভার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সিকিমে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলও ঘোষণা করা হয়। শুরুর দিকে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলে চামলিংয়ের দল এসডিএফ ও বিরোধী দল এসকেএম (সিকিম ক্রান্তিকারী মোর্চা)-এর মধ্যে। চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর দেখা গেল, ৩২টি আসনের সিকিম বিধানসভায় ১৫টি আসন দখল করেছে এসডিএফ, আর এসকেএম-এর ঝুলিতে গিয়েছে ১৭টি আসন। রাজ্যের একমাত্র লোকসভা আসনটিও দখল করতে সক্ষম হয়েছে তারা। সব মিলিয়ে ষষ্ঠবার মুখ্যমন্ত্রীর রেকর্ড আর গড়া আর হচ্ছে না চামলিংয়ের। এমনিতেই ‘বাহুবলী’ বলে কিছুটা দুর্নাম রয়েছে চামলিংয়ের। পাশাপাশি রয়েছে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ। একই সঙ্গে ‘চলো পালটাই’-য়ের সুর বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল পাহাড়ি রাজ্যটিতে। নিজের আসনটি ধরে রাখতে পারলেও, সব মিলিয়ে এবার জনমত তাঁর বিপক্ষে যাওয়াটাই স্বাভাবিক মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে, রাজনীতির ময়দানে নবাগত প্রাক্তন ফুটবলার বাইচুং ভুটিয়াকে পাত্তাই দিল না জনতা। ১২টি বিধানসভা আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তাঁর দল হামরো সিকিম পার্টি (এইচএসপি)। তবে নিটফল দাঁড়িয়েছে শূন্য। ফলে সিকিমের রাজনীতিতে বাইচুংয়ের প্রাসঙ্গিকতাই এবার প্রশ্নের মুখে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেশজুড়ে কার্যত ধুয়েমুছে গিয়েছে বিরোধীরা। উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য অরুণাচল প্রদেশও বিজেপির ঝুলিতে। মণিপুরের দু’টি লোকসভা আসনের একটিতে জয়ী বিজেপি। ত্রিপুরায় দু’টি লোকসভা আসনই দখল করেছে পদ্মশিবির। নাগাল্যান্ড, মেঘালয় ও মিজোরামে আঞ্চলিক দলের প্রভাব এখনও রয়েছে, তবে অসমে বিলুপ্তপ্রায় আঞ্চলিক দল এজিপি (অসম গণ পরিষদ)। এহেন পরিস্থতিতে চামলিংয়ের পরাজয়ে পাহাড়ি রাজ্যটিতে নয়া সমীকরণ তৈরি হতে চলেছে বলেই মনে করছেন রাজনীতিবিদরা।
[কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছেন বাংলার একাধিক সাংসদ, তুঙ্গে জল্পনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.