Advertisement
Advertisement

Breaking News

ধর্মান্তকরণ

পাক দূতাবাসের সামনে শিখ বিক্ষোভ, পুড়ল ইমরানের কুশপুতুল

ধর্মান্তকরণের প্রতিবাদে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে শিখরা৷

Sikhs burn effigy, launch massive protest outside Pakistan embassy
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 2, 2019 5:13 pm
  • Updated:September 2, 2019 5:14 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অপহরণ করে ধর্মান্তকরণ, তারপর জোর করে বিয়ে৷ পাকিস্তানের নানকানা সাহিব শহরে বসবাসকারী এক শিখ কিশোরীর সঙ্গে সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে আন্তর্জাতিক মহলে আবারও মুখ পুড়েছে ইমরান খান সরকারের৷ ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর  পাঁচ দিন অতিক্রম করে গেলেও, এখনও নিখোঁজ কিশোরীকে বাড়ি ফেরাতে পারেনি ইসলামাবাদ৷ বরং মুখ রক্ষার্থে সংবাদমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করেছে তারা৷ এই অবস্থায় ওই তরুণীকে দ্রুত ঘরে ফেরানোর দাবিতে, পথে নামলেন ভারতীয় শিখ ধর্মাবলম্বীরা৷ সোমবার নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাক দূতাবাসের সামনে কালো পতাকা ও প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তাঁরা৷ পোড়ালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কুশপুতুল৷

[ আরও পড়ুন: ‘মুসলিম তাড়াতে চেয়ে এনআরসির পরিকল্পনা বিজেপির কাছে ব্যুমেরাং’, মন্তব্য তরুণ গগৈর ]

Advertisement

এদিন দুপুরে ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে দূতাবাসের কাছে একত্রিত হন শিখ ধর্মাবলম্বীরা৷ পাকবিরোধী প্ল্যাকার্ড ও কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ পাকিস্তানে বসবাসকারী শিখদের নিরাপত্তা মজবুত করার দাবিতে সরব হন তাঁরা৷ অভিযোগ করেন, দিনের পর দিন পাকিস্তানে অত্যাচারিত হচ্ছেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা৷ তাদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে৷ জোর করে ধর্মান্তকরণে করা হচ্ছে৷ তাঁরা দাবি করেন, শিখদের অধিকার রক্ষা করতেই হবে ইমরান সরকারকে৷ যে মেয়েটিকে অপহরণ করা হয়েছে, তাঁকে জলদি ঘরে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷ দোষীদের যথাযথ শাস্তি দিতে হবে৷ এবং ধর্মান্তকরণে রোধ করতে হবে৷

[ আরও পড়ুন: মোদির মুকুটে নতুন পালক, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাচ্ছে স্বচ্ছ ভারত অভিযান ]

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের নানকানা সাহিব শহরে পরিবারের সঙ্গে বসবাস করে ওই কিশোরী। সম্প্রতি তাকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এক মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, পরে ওই কিশোরীকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়ে বিয়ে করে। পরে বিয়ের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করে অভিযুক্ত যুবক। যা পরে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে, মুসলিম যুবকটির পাশে বসে আছে ওই মেয়েটি। নিজের নাম জগজিৎ কাউর বলে জানিয়ে সে দাবি করে কোনও চাপ ছাড়াই ওই ছেলেটিকে বিয়ে করছে। যদিও তা কোনওভাবেই মানতে চায় না মেয়েটির পরিবার ও আত্মীয়স্বজনরা। মেয়েকে জোর করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করিয়ে বিয়ে করার অভিযোগে স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কিন্তু, কোনও সুরাহা না পেয়ে বাধ্য হয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কাছে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। তারপরেও অবশ্য কোনও লাভ হয়নি। ঘটনার পাঁচ দিন পরেও বাড়ি ফেরেনি ওই কিশোরী৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement