Advertisement
Advertisement
Coronavirus

অক্সফোর্ডের করোনা টিকার ৪ কোটি ডোজ তৈরি, বড় ঘোষণা সেরাম ইনস্টিটিউটের

চূড়ান্ত সাফল্যের পরই সাধারণের হাতে তুলে দেওয়া যাবে প্রতিষেধক, আশাবাদী সেরাম।

SII has produced 40m dose of Oxford-AstraZeneca's COVID vaccine, announces the company| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 12, 2020 3:33 pm
  • Updated:November 12, 2020 3:38 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনাযুদ্ধের (Coronavirus) অব্যর্থ হাতিয়ার হিসেবে এখনও স্বীকৃতি পায়নি কোনও প্রতিষেধকই। তবু সবরকমভাবে নিজেদের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখছে উৎপাদনকারী সংস্থাগুলো। সে পথেই হাঁটল ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট (SII)। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনা প্রতিষেধকের ট্রায়াল চলাকালীনই তারা ‘নোভাভ্যাক্স’-এর ৪ কোটি ডোজ বানিয়ে ফেলেছে। বৃহস্পতিবার সেই ঘোষণা করা হল সংস্থার তরফে। এখন শুধুমাত্র স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের অপেক্ষা। পাশাপাশি, ভ্যাকসিনটির তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালের জন্য ১৬০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের নাম নথিভূক্ত করা হয়েছে। 

বিশ্বে মহামারী ছড়িয়ে পড়ার পর সবচেয়ে আগে ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা শুরু করে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তাদের সঙ্গে হাত মেলায় ব্রিটিশ-সুইডিশ ওষুধ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা। উভয়ের যৌথ প্রচেষ্টায় প্রাথমিকভাবে প্রতিষেধক তৈরির পরই তা ভারতে তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই মুহুর্তে সেরামই বিশ্বের সবচেয়ে বড় করোনা প্রতিষেধকের উৎপাদক সংস্থা। অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিনটির প্রথম, দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের পর তৃতীয় তথা শেষ পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রয়োগের দোরগোড়ায়। এই অবস্থায় সেরাম জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই ‘নোভাভ্যাক্স’ (Novavax)-এর ৪ কোটি ডোজ তৈরি করে ফেলেছে তারা। শিগগিরই এর প্রতিদ্বন্দ্বী টিকা (Rival Shot) তৈরির কাজও শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বেকারত্ব কমাতে একাধিক পদক্ষেপ, ‘আত্মনির্ভর রোজগার যোজনা’ ঘোষণা নির্মলার]

তবে সেরামের তৈরি এই ৪ কোটি ডোজ কি শুধুই ভারতের জন্য নাকি অন্যদেরও দেওয়া হবে, সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ সেরামের অধিকর্তা এবং আইসিএমআর (ICMR)। এখন ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত সাফল্যের অপেক্ষা। তা হলেই অনুমোদন নিয়ে সাধারণের হাতে তুলে দেওয়া যাবে নোভাভ্যাক্স। এদিকে, বৃহস্পতিবারই দেশের করোনাযুদ্ধে আর্থিক বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ জানিয়েছেন, ‘কোভিড সুরক্ষা মিশন’-এর আওতায় এই সংক্রান্ত গবেষণা কাজের জন্য আরও ৯০০ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বায়োটেকনোলজি বিভাগকে।

[আরও পড়ুন: ‘গো ব্যাক মোদি’, JNU ক্যাম্পাসে বিবেকানন্দের মূর্তি উন্মোচনের বিরোধিতায় বিক্ষোভের ডাক]

করোনা ভ্যাকসিনের দৌড়ে কে কতটা এগিয়ে, তা নিয়ে জোরকদমে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতেই ফাইজার-বায়োএনটেক দাবি করেছিল, তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ৯০ শতাংশ কার্যকরী। তার ঠিক পরই রাশিয়া দাবি করে তাদের প্রতিষেধক ৯২ শতাংশ ফলপ্রসূ এবং নিরাপদ। এবার চূড়ান্ত ট্রায়ালের পর নোভাভ্যাক্স নিয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কী দাবি করে, সেদিকে তাকিয়ে ভারত।

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement