সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বচ্ছ ভারতের অঙ্গীকার মন ছুঁয়েছে এই দুই পড়ুয়ার৷ সমাজকে পরিষ্কার করতে তাই পিছিয়ে থাকেনি ওরাও৷ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দুই পড়ুয়া স্কুল থেকে স্কলারশিপ হিসেবে হাতে পেয়েছিল প্রায় ৮ হাজার টাকা৷ অল্প বয়সে কাঁচা টাকা হাতে পেয়ে অনেক কিছুই করতে পারত দশম শ্রেণির আমির খান ও তার দিদি মেমুনা খান৷ সিনেমা দেখা, ভাল রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করা, জামা কাপড় কেনা, কোনওটাই করেনি তারা৷ বরং তারা যা করে দেখাল, তা হয়তো মোটা টাকা বেতন পাওয়া কর্মীরাও করার কথা ভাবেন না৷
মধ্যপ্রদেশের নরসিংপুর মহারানি লক্ষ্মীবাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী মেমুনা ও আমির দেখিয়ে দিয়েছে, ইচ্ছে থাকলে বয়স কখনওই বাধা হতে পারে না৷ তা কোন খাতে খরচ করল তারা সেই স্কলারশিপের অর্থ? সেই অর্থ দিয়ে স্কুলকে একটি আস্ত শৌচালয় উপহার দিল তারা৷ শুধু স্কলারশিপের অর্থই নয়, রোজকার খরচ থেকে একটু একটু করে নিজেদের জমানো আরও দু’হাজার টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয় তারা৷ মেমুনা বলছে, “আমাদের স্কুলে একটাই শৌচাগার৷ দেখে খুব খারাপ লাগত ছাত্ররা শৌচালয়ের বাইরে লম্বা লাইন করে দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ তাই ঠিক করলাম স্কলারশিপের টাকা দিয়ে স্কুলকে একটা শৌচালয় বানিয়ে দেব৷ জমানো ২ হাজার টাকা মিলিয়ে প্রায় ১০ হাজার টাকা দিয়েছি৷ আমাদের উদ্যোগে খুশি হয়ে বাবাও সাড়ে ১৪ হাজার টাকা দিয়েছেন৷”
মেমুনার এমন সমাজসেবি মনোভাবের পরিচয় অতীতেও মিলেছে৷ এর আগে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানকে চিঠি লিখে স্কুলের সামনে পাকা রাস্তা বানিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিল সে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.