সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজকাল হরদমই শোনা যায় স্মার্টফোন বারোটা বাজাচ্ছে পড়াশোনার। স্মার্টফোনের ফলেই পড়া থেকে হটছে ছাত্রছাত্রীদের মনোযোগ। কথাটা যে নেহাত মিথ্যে নয়, তা বললেন এবছর NEET প্রবেশিকায় প্রথম স্থানাধিকারী।
পরীক্ষায় রেজাল্ট ভাল করার লক্ষ্য সব পড়ুয়ারই থাকে। তার মধ্যে গুটিকয়েকের স্বপ্ন সফল হয়। বাকিদের প্রথম, দ্বিতীয় স্থান যখন অধরা থাকে, তখন বাবা মায়ের কাছে শুনতে হয় বকুনি। আর সব বাবা-মায়ের তো একটাই কথা। স্মার্টফোনই বারোটা বাজিয়েছে। সর্বক্ষণ মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখলে পড়ার সময় কোথায়? এই নিয়ে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে বাবা-মায়ের মাঝেমাধ্যেই তুলকালাম বেধে যায়।
তবে ছেলেমেয়েরা যতই নিজেদের ঠিক বলে দাবি করুক, NEET প্রবেশিকায় প্রথম স্থানাধিকারী নলিন খান্ডেলওয়ালের ভোট কিন্তু বাবা মায়ের দিকেই পড়েছে। বলেছেন, স্মার্টফোনের সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ ছিল না। ভাল রেজাল্ট করার এটাই ছিল তাঁর পাসওয়ার্ড। এমনকী সোশ্যাল সাইটের সঙ্গেও দূর-দূরান্ত পর্যন্ত কোনও সম্পর্ক ছিল না নলিনের। তবে তার মানে এই নয় যে সর্বক্ষণ বইয়ের মধ্যে মুখ গুঁজে থাকতেন তিনি। পড়ার সময় ছিল তাঁর বাঁধা। দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা।
[ আরও পড়ুন: ইজরায়েলের কাছ থেকে আরও ১০০টি ‘বালাকোট বম্ব’ কিনছে ভারতীয় বায়ুসেনা ]
এবছর নিট-এ নলিন পেয়েছে ৭০১। নম্বরের পুরো কৃতিত্ব নলিন দিয়েছেন স্মার্টফোন ব্যবহার না করাকে। বলেছেন, দু’বছর তাঁর কাছে কোনও স্মার্টফোন ছিল না। সবসময় না পড়লেও ফাঁকা সময়টা নিজের সঙ্গেই কাটাতে পছন্দ করতেন তিনি। আত্মীয়দের সঙ্গেও সময় কাটাতেন। বাকি কৃতিত্বটা সম্পূর্ণ বাবা মায়ের। দু’জনেই ডাক্তার। তাঁদের সহযোগিতা ছাড়া পরীক্ষায় সফল হতে পারতেন না বলে জানিয়েছেন নলিন।
তবে নেটের ফলাফল জেনেই থেমে থাকতে চান না নলিন। তাঁর নজর এখন এইমসের ফলের দিকে। দাদা ডাক্তারি পড়ছে, বাবা-মা দুজনেই ডাক্তার। ফলে সহজাত প্রবৃত্তিতেই ডাক্তারির দিকে ঝোঁক রয়েছে নলিনেরও।
[ আরও পড়ুন: রাতভর অভিযানে বড়সড় সাফল্য সেনার, পুলওয়ামায় নিকেশ ৪ জঙ্গি ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.