সুব্রত বিশ্বাস: ‘ছিল বিড়াল হয়ে গেল রুমাল’ এই বাক্যটি প্রায় সকলেরই শোনা। কিন্তু কস্মিনকালেও শুনিনি মহারাষ্ট্রের বসই থেকে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরগামী ট্রেন সেখানে না গিয়ে সটান পৌঁছে গেল ওড়িশার রাউরকেল্লাতে। লকডাউন শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে যখন রেলই ত্রাতার ভূমিকায়, তখন শ্রমিক ট্রেন দিক ভুল করে ভিন রাজ্যে চলে যাওয়াটা আশ্চর্যের বিষয়। যদিও রেল এই বিষয়টাকে ভুল বলে মানেনি। বরং জানিয়েছে, রুট ব্যস্ত থাকায় ট্রেনটি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে রেল শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালাচ্ছে। যার মধ্যে প্রায় চল্লিশটি ট্রেন এমন ভিন রাজ্যে পাড়ি দিয়েছে। রেল সূত্রে বলা হয়েছে, ২৩ মে বেশ কিছু ট্রেনের রুট বদল করায় এই সমস্যা হয়। তবে কতগুলি ট্রেন এমন ভিন রাজ্যে গিয়েছে তা জানায়নি রেল। বেঙ্গালুরু থেকে উত্তরপ্রদেশে ১ হাজার ৪৫০ জন মজদুরকে নিয়ে যাচ্ছিল একটি শ্রমিক স্পেশ্যাল। ট্রেনটি গন্তব্যে না পৌঁছে চলে যায় গাজিয়াবাদ। ২১ মে রাতে মহারাষ্ট্রের লোকমান্য তিলক টার্মিনাল থেকে পাটনার উদ্দেশ্যে ছাড়া ট্রেনটি চলে আসে পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ায়। মহারাষ্ট্রের পনধারপুর থেকে জসিডি আসছিল শ্রমিক ট্রেন, যা শেষে পৌঁছে যায় কোডারমায়। রেল জানিয়ে দেয়, জসিডি ট্রেনটি নিতে সমস্যা হওয়ায় তা কোডারমাতে পাঠানো হয়। ট্রেনটিতে ৯১১ জন যাত্রী ছিলেন। যাঁরা ধানবাদ, বোকারো,হাজারিবাগ, দেওঘর, রাঁচি, গড্ডা, দুমকার বাসিন্দা।
রুট ব্যস্ত থাকার সাফাই রেল গাইলেও, এমনটা হওয়ার কথা নয় বলে রেলের আধিকারিকদের একাংশের মত। এমনি সময়ে এই ঘটনা ঘটলে, রেল কী বলতো। এমনিতেই দীর্ঘ দু’মাসের উপরে ভিন রাজ্যে আটকে শ্রমিকরা। নেই কাজ, নেই খাবার। তার মধ্যে বাড়ি ফিরতে উপরি এই ঝামেলা কে সহ্য করবে। ট্রেনে বাড়তি সময় তাঁদের কাছে দুঃসহ। মাজে মধ্যেই শ্রমিক ট্রেনের যাত্রীরা স্টেশনে খাবার লুট করছেন। এদৃশ্য প্রত্যেকের চোখে পড়েছে। ট্রেনের মধ্যে সমস্যার মধ্যে পড়ে এই অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন শ্রমিকরা বলে তাঁরা মনে করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.