সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন নিয়ে কেন্দ্র ও বিরোধী তরজা অব্যাহত। শুক্রবার শ্রমিক স্পেশ্যালকে ‘করোনা স্পেশ্যাল’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার এই ট্রেনগুলিকে ‘মৃত্যুপুরী’ বলে কটাক্ষ করলেন লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি। এক সর্বভারতীয় মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাকারে তিনি ‘অপরিকল্পিত’ লডাউন নিয়ে কেন্দ্রকে তুলোধোনা করেন। সেখানেই কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “পরিযায়ীদের জন্য কেন্দ্র যে ট্রেন চালাচ্ছে তা আদপে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে”। এদিকে ট্রেনে অব্যবস্থার জন্য বিহার ও উত্তরপ্রদেশ সরকারকে নোটিশ ধরিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। প্রসঙ্গত, এই দুই রাজ্যেই সবচেয়ে বেশি পরিযায়ী শ্রমিক বোঝাই ট্রেন এসেছে। এমনকী, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরিযায়ীর মৃত্যুও হয়েছে।
পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্দশা বুঝতে মোদি সরকার ‘সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন অধীরবাবু। তাঁর কথায়, “কোনও পরিকল্পনা ছাড়াই মাত্র চার ঘণ্টার নোটিশে লকডাউনের ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার। যার প্রতিক্রিয়া হয় ভয়াবহ। পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যার কথা বুঝতেই পারেনি কেন্দ্র সরকার”। প্রসঙ্গত, মার্চের মাসের শেষের দিকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের করুণ পরিস্থিতির একের পর এক ছবি সামনে আসতে থাকে। যা নিয়ে বারবার কেন্দ্র বিরুদ্ধে অভিযোগ শানিয়েছে বিরোধীরা।
এদিনও রাহুল গান্ধীর প্রসঙ্গ তুলে ধরে অধীরবাবু বলেন, “রাহুল গান্ধী ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বারবার লকডাউন ঘোষণার আবেদন জানাচ্ছিলেন। কিন্তু তাতে কান দেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি তখন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারকে ফেলতে ব্যস্ত ছিলেন।” যখন লকডাউন করলেন ততক্ষণে সবশেষ। দেশে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। যার ফল আজকে দেশবাসীকে ভুগতে হচ্ছে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও দাবি করেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.