সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) নিরাপত্তায় বড়সড় গলদে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতণ্ডা। এবার সেই ঘটনায় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নিকে (Charanjit Singh Channi) তোপ দাগলেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। চান্নিকে অমরিন্দরের কটাক্ষ, যদি প্রধানমন্ত্রীর জন্য সুরক্ষিত রাস্তার ব্যবস্থাটুকুও না করতে পারেন তবে পদ ছেড়ে দিন।
বুধবার ভাতিন্ডা বিমানবন্দর থেকে ফিরোজপুর যাওয়ার পথে কৃষক বিক্ষোভের জেরে প্রায় মিনিট কুড়ি একটি ফ্লাইওভারে আটকে থাকতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে। যার জেরে সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে ভাতিণ্ডায় ফিরে যেতে হয় মোদিকে। এই ঘটনার পর পাঞ্জাব বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট গড়া অমরিন্দর টুইট করেন, “আইনশৃঙ্খলার চরম বিপর্যয় ঘটেছে পাঞ্জাবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলছি, আপনারা যদি পাক সীমান্তের ১০ কিলোমিটার দূরত্বের মতো সংবেদনশীল জায়গায় দেশের প্রধানমন্ত্রীর জন্য সঠিক নিরপাত্তার ব্যবস্থা না করতে পারেন, তবে ওই সরকারি দপ্তরে বসার অধিকার নেই আপনাদের। বরং পদত্যাগ করা উচিত।”
এদিকে একই বিষয়ে পাঞ্জাব সরকার তথা কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। কেন দেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করার চেষ্টা হল, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যান মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, “আমরা জানি কংগ্রেস মোদিকে ঘৃণা করে। কিন্তু আজ দেশের প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করার চেষ্টা হয়েছে। জেনেবুঝে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, যাতে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষতি করা যায়।”
Complete failure of law and order in Punjab, CM and HM Punjab, in particular. When you cannot provide smooth passage to the Prime Minister of the country and that too just 10km from the Pakistan border, you have no right to stay in office and should quit!
— Capt.Amarinder Singh (@capt_amarinder) January 5, 2022
বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও (JP Nadda) এই ঘটনায় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর চান্নির দিকে আঙুল তুলেছেন। তাঁর কথায়, “রাজ্য পুলিশ আগেই বিক্ষোভ রোখার ব্যবস্থা করতে বলেছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চান্নি পুলিশের ফোন ধরেননি এবং এই বিষয়ে কোনও ব্যবস্থাও নেননি।”
যদিও কংগ্রেস যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে বলেছে, ১০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তায়। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও এসপিজি (SPG) ও অন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাও ছিল প্রধানমন্ত্রীর নিরপত্তার দায়িত্বে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.