Advertisement
Advertisement

Breaking News

শাহিনবাগে গুলি

‘হিন্দুস্তানে শুধু হিন্দুরাজ চলবে’, শাহিনবাগে গুলি চালিয়ে হুমকি বন্দুকবাজের

শূন্যে গুলি চালানোর পরই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Shot fired at Shaheen Bagh protest venue with slogan, youth held

ফাইল ফটো

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:February 1, 2020 5:25 pm
  • Updated:February 1, 2020 5:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পর শাহিনবাগ। CAA বিরোধী আন্দোলনের মাঝে শাহিনবাগে চলল গুলি। শনিবার বিকেলের দিকে আচমকাই বন্দুক হাতে প্রকাশ্যে শূন্যে গুলি চালিয়ে দিল এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবক। সঙ্গে স্লোগান – ‘হিন্দুস্তানে শুধু হিন্দুরাজই চলবে।’ থতমত খেয়ে যান আন্দোলনকারীরা। যদিও সঙ্গে সঙ্গেই দিল্লি পুলিশ ওই বন্দুকবাজকে ধরে ফেলে। তাকে হেফাজতে নিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তার নাম কপিল গুর্জর।

শাহিনবাগে আচমকা হামলা এই প্রথম নয়। এর আগে বুধবার বন্দুক উঁচিয়ে শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। হাজি লুকমান নামে ওই ব্যক্তি শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের উপর চড়াও হয়ে হুমকি দিয়ে বলে, ”রাস্তা ফাঁকা করো, নইলে লোক মরবে।” ধরা পড়ার পর নিজেকে রাজনৈতিক কর্মী বলে দাবি করেছিল। তবে কোন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সে যুক্ত, তা এখনও অজ্ঞাত। তার কাছ থেকে বন্দুক উদ্ধার হয়েছে। বন্দুকটির লাইসেন্স ছিল বলে জানান তদন্তকারীদের। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: বাজেট ২০২০: দেশের পাঁচ ঐতিহাসিক স্থান ঘিরে সংগ্রহশালা তৈরির সিদ্ধান্ত, ব্রাত্যই বাংলা]

তারপর বৃহস্পতিবার জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে প্রতিবাদ মিছিল শুরু হওয়ার আগে এক নাবালক গুলি চালায়। মুখে ছিল স্লোগান – ইয়ে লো আজাদি। আহত হন এক ছাত্র। হামলার আগে ফেসবুকে সে বদলা নিয়ে বক্তব্য পোস্ট করে। লাইভ টেলিকাস্টে বন্দুক উঁচিয়ে হুঁশিয়ারিও দেয়। হিন্দুত্বে বিশ্বাসী ওই নাবালক পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালায় জামিয়ার বাইরে। নির্দিষ্ট করে কাউকে নয়, বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ত্রাস ছড়াতেই সে গুলি চালিয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। আপাতত সেই হামলাকারী নাবালক জুভেনাইল আদালতে বিচারাধীন।

[আরও পড়ুন: দিল্লিতে জমেছে কুর্সি দখলের লড়াই! অধিকাংশ AAP প্রার্থীর বিরুদ্ধেই রয়েছে ফৌজদারি মামলা]

ঠিক দু’দিন পর আজই কেন্দ্রের তরফে শাহিনবাগের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে বৈঠকে বসার বার্তা দেওয়া হয়েছিল। তারপরই শাহিনবাগে শূন্যে গুলি চালাল কপিল নামে ওই ব্যক্তি। সেও কি ক্ষমতা প্রদর্শনের জন্যই গুলি চালিয়েছে? নাকি হিন্দুত্ববাদী মনোভাব থেকে শাহিনবাগের আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়ার লক্ষ্যে সে এই কাজ করেছে, তা তদন্তসাপেক্ষ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement