Advertisement
Advertisement

পেট্রোল পাম্পের পর এখন দোকান, শপিং মল থেকেও মিলবে টাকা

ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পথে...

Shops to dispense cash up to Rs.2000 through card-swipe machines from today
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 19, 2016 12:27 pm
  • Updated:November 19, 2016 12:27 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেট্রোল পাম্পের পর এবার বড় দোকান থেকে মিলবে নগদ ২০০০ টাকা৷ শনিবার থেকেই মেট্রো শহরগুলির নির্দিষ্ট কয়েকটি বড় দোকানে এই নিয়ম চালু হচ্ছে৷ সেখান থেকে প্রতিদিন মিলবে ২০০০ টাকা করে৷ বড় দোকান, শপিং মল বা শোরুম- যেখানে কোনও ব্যাঙ্কের পিওএস মেশিন রয়েছে, সেখানে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে মিলবে এই নগদ টাকা৷ এমনটাই জানানো হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে৷ গতকাল থেকে দেশের প্রায় ২৫০০ হাজার পেট্রোল পাম্পেও একই নিয়মে মিলছে ২০০০ টাকা৷ ব্যাঙ্ক বা এটিএমের সামনে গ্রাহকদের লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর হাত থেকে মুক্তি দিতেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই নয়া সিদ্ধান্ত৷

অন্যদিকে, নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের জেরে গত এক সপ্তাহের মধ্যে দু’বার সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল কেন্দ্র৷ একই সঙ্গে কলকাতা হাই কোর্টও শীর্ষ আদালতের সুরেই কেন্দ্রকে তিরস্কার করেছে৷ নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার দাবিতে দায়ের হওয়া একটি মামলায় শুক্রবার শীর্ষ আদালত জানায়, নোট বাতিলের জেরে এক সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে৷ এই পরিস্থিতি বহাল থাকলে যে কোনও সময় দেশে দাঙ্গা লেগে যেতে পারে৷ একই সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি সরকারের কাছে শীর্ষ আদালত জানতে চায়, ১০০ টাকার নোট তো বাতিল করা হয়নি৷ তা হলে সেই টাকা গেল কোথায়? ২৫ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে৷ একই সঙ্গে হাই কোর্টে নোট বাতিল সংক্রান্ত যে মামলাগুলি চলছে সেগুলির উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে অস্বীকার করে শীর্ষ আদালত৷ অন্যদিকে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি গিরিশ গুপ্ত কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, মানুষের হয়রানি কমাতে কেন্দ্র কী ব্যবস্থা নিয়েছে?

Advertisement

(আজ ব্যাঙ্কে শুধু নিজস্ব গ্রাহক ও প্রবীণ নাগরিকদের নোট বদল)

নোট বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে যে সব মানুষকেই অসুবিধার মুখে পড়তে হচ্ছে সে কথা স্বীকার করে নেন সর্বোচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুর৷ শুক্রবার শুনানি শুরু হলে প্রধান বিচারপতি বলেন, “৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা হচ্ছে৷  এ থেকেই বোঝা যায় দেশে কী ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে৷ সরকার ৫০০, ১০০০ টাকার নোট বাতিল করেছে ঠিক আছে৷ কিন্তু ১০০ টাকার নোট কোথায় গেল? কেন এটিএমগুলিকে আগে থেকে সংস্কার করা হয়নি?” উত্তরে সরকার জানায়, এটিএমগুলিতে নতুন প্রযুক্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷ বর্তমানে এটিএমে একটিই ড্রয়ার কার্যকর রয়েছে৷ সেখানে শুধুমাত্র ১০০ টাকার নোট রয়েছে৷ এখনও সব জায়গায় ৫০০ টাকার নোট পৌঁছয়নি৷ আবার বহু এটিএমে নতুন নকশার ৫০০ টাকার জন্য ড্রয়ার তৈরি হয়ে ওঠেনি৷ সে কারণেই মানুষকে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে৷ প্রধান বিচারপতির বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে সরকার আরও জানায়, কর ফাঁকি এবং জাল টাকা রুখতে এবং কালো টাকা বাজেয়াপ্ত করতেই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ পাশাপাশি গত কয়েকদিনে সাধারণ মানুষের সমস্যা লাঘব করতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেও সরকার জানায়৷

অন্যদিকে, কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হওয়া দু’টি জনস্বার্থের মামলায় এদিন এক সঙ্গে শুনানি হয়৷ এই শুনানিতে কেন্দ্রের উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি গিরিশ গুপ্ত৷ তিনি কেন্দ্রের কাছে জানতে চান, মানুষের হয়রানি কমাতে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? অতিরিক্ত অ্যাডভোকেট জেনারেল কৌশিক চন্দ জানান, এটিএমগুলি থেকে এক লপ্তে ২০০০ টাকা তোলা যাচ্ছে৷ ২ হাজার টাকা তোলা যাচ্ছে ব্যাঙ্ক থেকে৷ প্রধান বিচারপতি বলেন, “আগে এটিএমগুলি থেকে ২৫০০ টাকা ও ব্যাঙ্কগুলি থেকে ৪৫০০ টাকা তোলা যাচ্ছিল৷ এখন টাকা তোলার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়ার মানে টাকার পর্যাপ্ত জোগান নেই৷ নোট বাতিল ঘোষণার পর থেকে কেন্দ্র বারবারই সিদ্ধান্ত বদল করে চলেছে৷ এর থেকে এটাই স্পষ্ট হয় যে, উপযুক্ত পরিকল্পনা ছাড়াই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ আগে থেকে কোনও হোমওয়ার্ক না করেই ঘোষণা করা হয়েছে৷” তবে সুপ্রিম কোর্টের মতোই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনও স্থগিতাদেশ জারি করেনি হাই কোর্ট৷ তবে গিরিশ গুপ্ত ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “চেক না নেওয়ায় হাসপাতালগুলিতে মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন৷ হয়রানি রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?

(শীঘ্রই বন্ধ হতে পারে পুরনো নোটের বদল ?)

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement