ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনসুকিয়া গণহত্যার উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ফের অসমে চলল গুলি৷ চা-বাগান শ্রমিককে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ দুষ্কৃতীদের৷ কপাল জোরে গুলির আঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন চা-বাগান শ্রমিক অশোক কুমার ঝা৷ অভিযোগ, শুক্রবার রাতে অসমের সোনারি চা-বাগান চত্বরে গুলি ছুঁড়ে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা৷ এদিনের এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাইকোয়াঘাট থানার বিহারি লাইন এলাকায়৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাতে একটি ফোন আসে অশোক কুমার ঝা-এর কাছে৷ জরুরি প্রয়োজনে তাঁকে বাগান চত্বরে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ ফোনে পাওয়া নির্দেশ পালন করতে সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে নিজেকে কোনওক্রমে রক্ষা করেন ওই ব্যক্তি৷ অভিযোগ, বাগানে পা রাখতে না রাখতেই অশোককে লক্ষ্য করে হামলা চালাতে শুরু করে দুষ্কতীরা৷ কিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকে দুষ্কৃতীরা৷ নিজের প্রাণ বাঁচাতে মাটিতে শুয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি৷ লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় গুলি৷ পরে, শূন্য বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা৷ এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়৷ পরে, খবর দেওয়া হয় পুলিশকে৷ এলাকায় আতঙ্ক কাটাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে গুলির নমুনা সংগ্রহ করে পুলিশ৷ তবে, ঠিক কী কারণে এই হামলা? তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ এই ঘটনার পেছনে কোনও জঙ্গির হাত রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
[‘না’ বলার অধিকার আছে যৌন কর্মীদেরও, জানাল সুপ্রিম কোর্ট]
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এনআরসি পরবর্তী পরিস্থিতির পর উত্তেজনায় ফুটছে গোটা অসম৷ তুঙ্গে প্রাদেশিকতার আস্ফালন৷ আর তার জেরেই অসমের তিনসুকিয়া জেলার ধোলা-খেরোনিবাড়ি এলাকায় পাঁচজন বাঙালি যুবককে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল৷ বিজেপি শাসিত রাজ্য অসম প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে কংগ্রেস ও বাম নেতৃত্ব৷ রাজনৈতিক উত্তাপের পাশাপাশি তিনসুকিয়া হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গি সংগঠন উলফা (আই)। ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অফ আসাম (উলফা)-র এই গোষ্ঠীটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা নেতা পরেশ বড়ুয়ার অনুগত৷ বর্ষীয়ান মোস্ট ওয়ান্টেড উলফা জঙ্গি নেতা পরেশ বড়ুয়া এখন বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়ে আছে৷ উলফা (আই) ভারত সরকারের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনার বিরুদ্ধে। এরা স্বাধীন অসম রাষ্ট্রের দাবিদার। এরা চায় অসম থেকে হিন্দু বাঙালিদের বিতাড়ন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.