সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বইপত্র ছাড়াও ডাক্তারি পড়তে আরও একটি জিনিসের দরকার পড়ে। সেটা হল মৃতদেহ। অনেকেই মৃত্যুর পর ডাক্তারির পড়াশোনায় ব্যবহারের জন্য দেহ দান করে যান। আবার কখনও কখনও নাম পরিচয়হীন ব্যক্তিদের মৃতদেহ কাটাছেঁড়া করে হাত পাকান হবু চিকিৎসকরা। কিন্তু কাজ মিটে গেলে মৃতদেহগুলির কী গতি হয়? সে খবর কেউ রাখে না। সম্প্রতি কেরলের কোঝিকোড়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে যা ঘটেছে, তা শুনে হয়তো আপনি আঁতকে উঠবেন।
[ব্রাহ্মণরাও গো-মাংস খেতেন, বিস্ফোরক দাবি বিজেপি নেতার]
কেরলের কোঝিকোড়ে এই মেডিক্যাল কলেজটি স্থাপিত হয় ১৯৫৭ সালে। এটি কেরলের দ্বিতীয় মেডিক্যাল কলেজ। কালিকট বিশ্ববিদ্যালয় ও কেরল স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অধীনস্থ এই কলেজটিতে দাঁতের চিকিৎসা, ফার্মেসি, শিশু ও মায়ের চিকিৎসা-সহ একাধিক বিষয় পড়ানো হয়। স্বাভাবিকভাবেই এই মেডিক্যাল কলেজে পড়াশোনার জন্য প্রতিদিন প্রচুর মৃতদেহের প্রয়োজন হয়। কাজ মিটে গেলে সেই মৃতদেহগুলিকে কী করা হয় জানেন? একটি মুখখোলা কুয়োর মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়। কুয়োর চারপাশে ঘুরে বেড়ায় শকুনের দল। সম্প্রতি ওই কুয়ো থেকে কুড়িটিরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবেশ দূষণ তো ছেড়েই দিন, মৃত্যুর পর যাঁরা মৃতদেহ দান করে যান বা নাম পরিচয়হীন যেসব ব্যক্তির মৃতদেহ কাটাছেঁড়া করা হচ্ছে, সেইসব মৃত ব্যক্তিদের কাছে এই ঘটনা চূড়ান্ত অপমানজনক।
[ডিমের পর এবার ছড়াল প্লাস্টিক চালের আতঙ্ক]
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে নড়েচড়ে বসেছে কেরলের স্বাস্থ্য দপ্তর। কীভাবে দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটে চলেছে, তা জানতে চেয়ে কোঝিকোড়ের এই সরকারি মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছেন কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
[পরকীয়ার জেরে জামাইবাবুর বোনের মাথায় সিঁদুর দিল যুবক]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.