সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ানো। দীর্ঘ ভিড় ঠেলে মন্দিরে পৌঁছানোর পর পুজোপাঠ। সবশেষে প্রসাদ বা ভোগের জন্য অপেক্ষা। দেশের বহু মন্দিরে এধরনের ঘটনা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ভক্ত বা দর্শনার্থীরা ধৈর্য দেখানোর পর যে প্রসাদ হাতে পান তা কি খাওয়ার যোগ্য বা স্বাস্থ্যসম্মত। উত্তরটা না। দেশের ৩০ লক্ষ মন্দির কমিটি প্রসাদের মান নিয়ে কার্যত চিন্তাই করে না।
[দাঙ্গায় ইন্ধন, অবশেষে হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের]
তথ্য জানার অধিকার আইনে বিষয়টি জানতে চেয়েছিলেন কর্নাটকের বাসিন্দা টি নরসিমা মূর্তি। তিনি তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানের প্রসাদের মান নিয়ে আরটিআই করেছিলেন। সেখানে জানা গিয়েছে, শুধু তিরুমালা তিরুপতি নয়, দেশের প্রায় ৩০ লক্ষ মন্দির স্বজ্ঞানে একই রকম গাফিলতি করে চলেছে। খাবারের মানের বিষয়ে শাস্তি বেশ কড়া। ৬ মাসের জেল এবং ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানার নিদান রয়েছে। কিন্তু এর প্রয়োগের অভাবে মন্দির কর্তৃপক্ষগুলি বেঁচে যাচ্ছে বলে আক্ষেপ এই সামাজিক আন্দোলন কর্মী। মূর্তির বক্তব্য, চেন্নাইতে তিরুপতি লাড্ডু নামে একটি দোকান রয়েছে। যেখানে পুজোর প্রসাদ বিক্রি হয়, কিন্তু মান বেশ খারাপ। তিনি এই বিষয়ে তামিলনাড়ু আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। আদালতের নির্দেশে ওই লাড্ডুর দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই সমাজকর্মীর সংযোজন, দেশে অনেক এমন প্রসাদের দোকান রয়েছে। যারা নিয়মকে তোয়াক্কা করে না। এমনকী সিংহভাগ মন্দিরগুলি খাবারের মান সংক্রান্ত লাইসেন্স করানোর ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় না। যাদের আছে তারাও লাইসেন্স নবীকরণের জন্য গরজ দেখায় না। তবে তাঁর আরটিআইয়ের পর তিরুমালা তিরুপতি কর্তৃপক্ষ অবশ্য ফুড কোয়ালিটি লাইসেন্স করাতে চলেছে।
[নাপিতের কাছে ঘাড়ে ম্যাসাজ করান? জানেন, কী ক্ষতি করছেন নিজের?]
দেশের ধর্মস্থানগুলিতে প্রসাদের মান দেখার দায়িত্বে রয়েছে FSSAI। মূর্তির এই উদ্যোগের পর এই খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থাও দেশের বিভিন্ন মন্দিরের কাছে খাবারের মানের বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছে। ফুড কোয়ালিটি লাইসেন্স ছাড়া কারা এখনও ভক্তদের নিম্নমানের প্রসাদ দিয়ে যাচ্ছে তারও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.