Advertisement
Advertisement

Breaking News

নির্ভয়া

নেতাদের প্রতিশ্রুতিতে ভরসা নেই, ভোটদানে আগ্রহী নন নির্ভয়ার বাবা-মা

বদলায়নি কিছুই, বলছেন আশা-বদ্রীনাথ সিং৷

Shocker! Nirbhaya's parents boycott Lok Sabha polls
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:April 26, 2019 1:17 pm
  • Updated:April 26, 2019 1:17 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশ যে তিমিরে আগে ছিল, এখনও তাই রয়েছে। এখনও রাস্তাঘাট মেয়েদের জন্য, শিশুদের জন্য নিরাপদ নয়। বাস স্টপে সিসিটিভি বসানোর কথা ছিল, বসানো হয়নি। পর্যাপ্ত আলোর বন্দোবস্ত করা হবে বলে ঘোষণা হয়েছিল, পূরণ হয়নি। এখনও মেয়েরা সময়ে বাড়িতে না ফিরলে মায়েরা চিন্তায় ছটফট করেন। প্রতিবার ভোটের আগে সব রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা এসে মহিলাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা নিয়ে ভুরিভুরি প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান। কিন্তু সেই সব প্রতিশ্রুতি স্রেফ প্রতিশ্রুতি হয়েই থেকে যায়। ছবিটা এক চুলও বদলায় না।  

তাই এবার আর কোনও ‘রাজনৈতিক গিমিক’-এ ভুলতে চান না আশা দেবী এবং বদ্রীনাথ সিং। অর্থাৎ ‘নির্ভয়া’র বাবা-মা। দু’জনেরই সাফ কথা, চলতি লোকসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই তাঁদের। তাঁরা ভোট দিতেই চান না। ২০১২ সালে মেয়েকে হারিয়েছিলেন আশা এবং বদ্রীনাথ। সেই ঘটনায় তোলপাড় হয়ে উঠেছিল দেশ। রাজধানী শহরের বুকে, চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিল তাঁদের কন্যা, ‘নির্ভয়া’। ভয়ংকর সেই ঘটনার পর ১১ দিন ধরে বেঁচে থাকার লড়াই চালিয়েছিল সে। পারেনি। ঘটনার জেরে সাময়িক সক্রিয় হয় পুলিশ প্রশাসন। ধরা পড়ে ‘নির্ভয়া’-র ছয় অপরাধী। কিন্তু তার পর দেশজুড়ে সর্বত্র মহিলাদের নিরাপত্তা জোরদার করা নিয়ে হাজারো উদ্যোগ নেওয়ার কথা হলেও আখেরে বাস্তবায়িত হয় নামমাত্র কয়েকটিই। আর তা নিয়েই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন কন্যা হারানো অভিভাবক আশা এবং বদ্রীনাথ।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: শংকর লালওয়ানির নেপথ্যে ইন্দোরে ভোটযুদ্ধের রাশ সুমিত্রা মহাজনের হাতে ]

সংবাদমাধ্যমের কাছে ‘নির্ভয়া’-র মা, আশার দাবি, “দেশে এখনও মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। সব সরকারই প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ। তাহলে কেন ভোট দেব, বলতে পারেন? কোনও দলকেই ভোট দিতে ইচ্ছা নেই আমার।” একই রকম অনীহা ধরা পড়ল বদ্রিনাথ সিংয়ের গলাতেও। তাঁর কথায়, “সব দলই এসে মহিলাদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার কথা বলে। মহিলাদের ক্ষমতায়নের কথা বলে। অনেক অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সে সব পালন করার জন্য যে মনের জোর দরকার, ইচ্ছাশক্তি দরকার, সেটাই তো কারও নেই। দিনের শেষে তাই আমাদেরই কষ্ট পেতে হয়। আমাদেরই অসহায়তা বাড়ে।”

[ আরও পড়ুন: গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগে আদালতে বিপ্লব দেবের স্ত্রী, জল্পনা বাড়ছে ফেসবুক পোস্টে ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement