সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতার পরে ভারত নানা ক্ষেত্রে মুখ দেখেছে উন্নয়নের। তার পুরোটাই আলোকিত বৃত্তান্ত।
কিন্তু, প্রদীপের ঠিক নিচেই রয়ে গিয়েছে অন্ধকার। পেরিয়ে গিয়েছে স্বাধীনতার পরে ৭০টি বছর। অথচ, ভারতের বহু অঞ্চল এখনও বৈদ্যুতিক আলোর মুখ দেখেনি।
এত দিন পর্যন্ত এই দলেই পড়ত গুজরাতের পিপাবব বন্দর থেকে দেড় কিলোমিটার দূরের শিয়াল বেট দ্বীপ। তবে, দেরিতে হলেও দ্বীপের অন্ধকারের জীবন শেষ হয়েছে। শনিবার থেকে আলো ঢুকেছে দ্বীপের সব বাড়িতেই। আর বৈদ্যুতিক আলোর অভাবে অন্ধকারে দিন কাটাবে না শিয়াল বেট।
শিয়াল বেট তার এই আলোকযাত্রার কৃতিত্বের পুরোটাই সমর্পণ করতে চায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আনন্দীবাঈ পটেলকে। তাঁর উদ্যোগেই সমুদ্রের তলায় বসেছে ৬.৪ কিলোমিটার বিস্তৃত মেরিন কেবল, যা এই দ্বীপটিতে পর্যাপ্ত আলোর জোগান দেবে। যা এক দিকে আলোকিত করবে দ্বীপের ঘরগুলিকে, অন্য দিকে ছোট শিল্পের উন্নয়নেরও সহায়ক হবে।
স্বাভাবিক ভাবেই আলো পেয়ে আনন্দে ভাসছে শিয়াল বেটের ৮০০০ জনসংখ্যা। তাঁদের মনে হয়েছে, এত দিনে ভারতের অধিবাসী হিসেবে তাঁদের স্বীকৃতি মিলল।
খতিয়ে দেখলে, এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। শিয়াল বেট দ্বীপে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের প্রায় সবাই মৎস্যজীবী। এত দিন আলো না থাকায় মাছ শুকিয়ে জমা করার ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যা দেখা দিত। কিন্তু, এবার শিয়াল বেটের বাসিন্দারা এটা ভেবে আনন্দিত যে, তাঁরা রেফ্রিজারেটর ব্যবহার করতে পারবেন।
শুধু বাসিন্দারাই নন! তাঁদের পাশাপাশিই সমান ভাবে আনন্দিত মুখ্যমন্ত্রীও! ”শিয়াল বেটের ইতিহাসে এই আলো আসাটা এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করল। শিশুদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে যেমন তা সহায়ক হবে, তেমনই স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নানা দিকেও সাহায্য করবে। সব চেয়ে বড় কথা, এখন আর আলো না থাকার জন্য ছোটখাটো অসুবিধেয় দ্বীপের বাসিন্দাদের অন্য জায়গায় যেতে হবে না”, জানিয়েছেন আনন্দীবাঈ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.