Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রয়াত লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবকুমার স্বামী, শ্রদ্ধা প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির

ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মভূষণ পান।

Shivakumara Swamy passes away in 111 years
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:January 21, 2019 5:32 pm
  • Updated:January 21, 2019 5:32 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রয়াত লিঙ্গায়েত ধর্মগুরু শিবকুমার স্বামী। সোমবার সকাল ১১টা ৪৪ মিনিট নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ১১১ বছর। কর্নাটকের জীবন্ত ঈশ্বর হিসেবে শ্রদ্ধা করা হয় তাঁকে। তাঁর মৃত্যুতে রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে সমবেদনা জানিয়েছে সব রাজনৈতিক দলের নেতারা। মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী রাজ্যে তিনদিন শোকদিবস ঘোষণা করেছেন। ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকবে সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ ও অন্য দপ্তরও। মঙ্গলবার সিদ্ধগঙ্গা মঠে বিকেল ৪টে ৩০ মিনিট নাগাদ তাঁর শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছে।

[সহকর্মীর মার খেয়ে হাসপাতালে কংগ্রেস বিধায়ক, কর্ণাটকে তুঙ্গে নাটক]

এদিন মৃত্যুর খবর পাওয়ার আগেই সিদ্ধগঙ্গা মঠে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী, বিএস ইয়েদুরিপ্পা, এমবি পাতিল, কেজে জর্জ, সদানন্দ গৌড়া। এরপরই তাঁর মৃত্যুর খবর ঘোষণা হয়। কর্নাটকের লিঙ্গায়েতের ধর্মগুরুর মৃত্যুর খবরে তাঁর সম্প্রদায়ের মানুষ শোকে ভেঙে পড়েছে। কয়েকদিন আগে থেকেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় লিঙ্গায়েত প্রধানের। এর আগেও অনেকবার মিরাকেল করে অনেক রোগকে ভেলকি দিয়েছেন। ফিরে এসেছেন। কিন্তু এবার থেমে গেলেন লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের ‘ঈশ্বর’। বিদায় নিলেন ইহলোক থেকে। এই সিদ্ধগঙ্গা মঠের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। এদিন মঠের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, সকাল ১১টা ৪৪ মিনিটে পরলোকে গমন করেছেন স্বামীজি। তাঁর প্রয়াণের খবর আসার পর মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী বলেন, “জীবন্ত ঈশ্বর আর নেই। সিদ্ধগঙ্গা শ্রীর প্রয়াণে সমবেদনা জানাই। এটা রাজ্যের অপূরণীয় ক্ষতি। এদেশে আজ এক পবিত্র আত্মাকে হারাল।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, মহারাজের সংস্পর্শে হাজার হাজার মানুষ জীবনের সঠিক রাস্তা খুঁজে পেয়েছে। কর্নাটক নির্বাচনে তাঁর মঠে দেখা করতে যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। 

Advertisement

[প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সব যোগ্যতা আছে মমতার, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে কুমারস্বামী]

পাঁচ থেকে ১৬ বছরের ৮,৫০০ বাচ্চা তাঁর আশ্রমে থাকে। তাঁদের বিনামূল্যে থাকা, খাওয়া ও শিক্ষার ব্যবস্থা চলে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে তাঁকে পদ্মভূষণ দেওয়া হয়। এছাড়া রাজ্য সরকার তাঁকে কর্নাটক রত্ন সম্মান দিয়েছে। তিনি লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় গত দু’মাস ধরে ভুগছিলেন। চেন্নাইয়ের হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। এদিন তাঁর প্রয়াণে সমবেদনা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন টুইট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “সিদ্ধগঙ্গা মঠে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। তাঁর পবিত্র সংস্পর্শ ও আশীর্বাদ পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে। একটি বড় সম্প্রদায় তাঁর অনুগামী। বিরাট বড় মাপের সম্প্রদায়।” রাষ্ট্রপতি কোবিন্দও টুইটারে সমবেদনা জানান। লেখেন, “ধর্মগুরু শ্রী শ্রী শ্রী শিবকুমার স্বামীগালুর প্রয়াণের খবর শুনে আহত। সমাজে স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। তাঁর অগণিতদের ভক্তদের প্রতি সমবেদনা।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement