Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘‘১৭ মিনিটে বাবরি মসজিদ ভেঙেছি, রাম মন্দির তৈরিতে এত সময় লাগছে কেন?’’

বাধা দিলে দেশ ছাড়া হতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি শিবসেনার৷

 Shiv Sena slammed BJP on on Ram temple
Published by: Tanujit Das
  • Posted:November 23, 2018 9:56 pm
  • Updated:November 23, 2018 9:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে এবার শরিক শিবসেনার আক্রমণের মুখে পড়তে হল বিজেপিকে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন দলের শীর্ষ নেতা সঞ্জয় রাউত৷ শুক্রবার তিনি বলেন, “আমরা ১৭ মিনিটে গোটা বাবরি মসজিদ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলাম৷ আর অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য অর্ডিন্যান্স আনতে এত সময় লাগছে কেন?” এখানেই শেষ নয়, সেনার শীর্ষ এই নেতা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানান, রাম মন্দির নির্মাণে বাধা দেওয়া হলে দেশ ছাড়া করা হবে তাদের৷  

[হস্টেলের লিফটে ছাত্রীর সামনে হস্তমৈথুন, উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর]

Advertisement

লোকসভা ভোটের আগে রাম মন্দির নির্মাণে কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা বিজেপি সরকারের আরও তৎপর হওয়া প্রয়োজন বলে জানান সঞ্জয় রাউত৷ বলেন, “রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা, সর্বত্র বিজেপি-র সরকার রয়েছে, সর্বত্র বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। রাজ্যসভাতেও এমন অনেক সদস্য রয়েছেন, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য যাঁরা নিজেদের দলের অবস্থানের বিরুদ্ধে যাবেন এবং সরকারকে সহায়তা করবেন।” বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের বিরোধিতা করলে দেশে থাকতে দেওয়া হবে না বলেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন শিবসেনার এই শীর্ষ নেতা৷

[‘প্রধানমন্ত্রীর হিন্দু-মুসলিম রোগ আছে’, ভোট প্রচারে বেলাগাম তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী]

মন্দির নির্মাণের দাবিতে রবিবারই অযোধ্যা যাচ্ছেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি৷ প্রশ্ন করেন, ‘মন্দির ওহি বানায়েঙ্গে’ স্লোগান দিয়ে আর কত দিন নির্বাচনে জিতবে বিজেপি? হুমকির সুরে বলেন, ”আগে মন্দির তারপরে সরকার।” সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রয়েছে বিতর্কিত অযোধ্যা মামলা৷ কিন্তু মন্দির ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে আরএসএস-সহ অন্যান্য হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি৷ আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনে বিল এনে রাম মন্দির নির্মাণের পথ প্রশস্ত করার দাবি তুলেছেন তাঁরা৷ প্রসঙ্গত, ২০১০-এ এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়ের ভিত্তিতে অযোধ্যার বিতর্কিত ওই জমি ভাগ করে দেওয়া হয় রাম লালা, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড ও নির্মোহী আখড়ার মধ্যে৷ এলাহাবাদ হাই কোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement