সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মহাসংকট কবে মিটবে, কীভাবে মিটবে, তা এখনও আঁধারে। নানা অঙ্ক ঘুরছে বাণিজ্য নগরের রাজনৈতিক ক্যানভাসে। শিব সেনার বিদ্রোহী নেতারা এখনও গুয়াহাটির বিলাসবহুল হোটেলে রয়েছেন একনাথ শিণ্ডের (Eknath Shinde) নেতৃত্বে। জানা গিয়েছে ৩০ জুন পর্যন্ত ওই হোটেলে নতুন বুকিং নেওয়া হচ্ছে না। কারণ হোটেল হয়ে উঠেছে বিক্ষুব্ধ সেনাদের নিবাস। এর মধ্যেই মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজনৈতিক মানচিত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে (Raj Thackeray)। এদিন শিণ্ডে-রাজ কথা হয়েছে টেলিফোনে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক এমএনএস (MNS) নেতা জানিয়েছেন, একনাথ শিণ্ডে মহরাষ্ট্রের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে রাজ ঠাকরের সঙ্গে দু’ বার ফোনে কথা বলেছেন। তিনি রাজের শারীরিক অবস্থারও খবর নেন। যদিও তাঁদের মধ্যে ঠিক কী কথা হয়েছে, তা জানা যায়নি। উল্লেখ্য, খুড়তুতো ভাই উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thakeray) সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ২০০৬ সালে শিব সেনা ছেড়ে আলাদা দল গড়েন রাজ। প্রথম থেকেই তিনি নিজেকে কট্টর হিন্দুত্ববাদী বলে দাবি করে আসছেন। তাঁর মতে বাল ঠাকরের প্রকৃত উত্তরসূরি তিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে শিণ্ডে ও রাজের কথোপকথন সদর্থক হলে কি বিদ্রোহীদের সমর্থন করবেন রাজ? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
তবে মহারাষ্ট্রের বিদ্রোহী সেনা বিধায়কদের নেতা একনাথ শিণ্ডে এখনও পর্যন্ত আগামী পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছু জানাননি। রাজনৈতিক মহলের মতে বর্তমানে তিনি জল মাপছেন। সবদিক বিবেচনা করে তবেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন। এর মধ্যেই চমকে দেওয়া দাবি করেছেন উদ্ধবপুত্র আদিত্য ঠাকরে। জানিয়েছেন, একমাস আগে শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই সময় তিনি নাটক করে কেঁদে ভাসান। সেই তিনিই এখন সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। এদিকে গতকালই এক টুইটে হিন্দুত্বের ধ্বজা ওড়ান শিণ্ডে। বলেন, “যদি আমরা মরেও যাই তবুও হিন্দুত্বের দর্শন থেকে সরব না।” এর আগেও গুয়াহাটির হোটেলে ঘাঁটি গাড়া বিধায়করা নিজেদের কট্টর হিন্দুত্ববাদী বলে দাবি করেছেন। তাঁদের মতে তাঁরা হলেন ‘শিব সেনা বালাসাহেব।’
এদিকে সঙ্কট সামাল দিতে অসুস্থতার মধ্যেই দিন-রাত বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব। রাস্তায় নেমে সমর্থকদের তাতাচ্ছেন আদিত্য ঠাকরে। গতকালই জানা গিয়েছিল, সরকার বাঁচাতে আসরে নেমেছেন উদ্ধব-পত্নী রশ্মি ঠাকরেও। তিনিও নিজের মতো করে কথা বলছেন বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের স্ত্রীদের সঙ্গে। কোথাকার জল এখন কোথায় গড়াবে, তা বলবে সময়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.