সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের খবরের শিরোনামে হরিণ! তবে এবার আর কৃষ্ণসার নয়। জাতীয় উদ্যান এলাকায় একটি হরিণকে পিষে দিল শিব সেনার এক সাংসদের গাড়ি। যা নিয়ে বির্তক দানা বেঁধেছে। জানা গিয়েছে, ওই সময় সাংসদ রাজেন্দ্র গাভিট গাড়িটি চালাচ্ছিলেন না। এমনকী তিনি গাড়িতেও ছিলেন না। বরং সেসময় গাড়ির স্টিয়ারিং ধরেছিলেন গাড়ি চালক এস জর্জ। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িটিও।
জানা গিয়েছে, গত বুধবার মুম্বইয়ের সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যানের বরিভলির দিকের গেটের কাছে একটি হরিণকে পিষে দেয় সাংসদের গাড়ি। জাতীয় উদ্যানে পশু সুরক্ষার জন্য গাড়ি আস্তে চালানোর নির্দেশিকা রয়েছে। কিন্তু গাড়িটি সেই নির্দেশও মানেনি বলে খবর। সঙ্গে সঙ্গে জখম হরিণটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও তাকে বাঁচানো যায়নি। ঘাতক গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এবিষয়ে জাতীয় উদ্যানের অধিকর্তা তথা মুখ্য বনপাল আনোয়ার আহমেদ বলেন, “আমরা গাভিটের চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। বেপরোয়া গাড়ি চালানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন :গঙ্গার ভাঙন রোধে সদর্থক ভূমিকা নেই কেন্দ্রের, বিধানসভায় বিজেপিকে তোপ শুভেন্দুর ]
তিনি আরও জানান, সঞ্জয় গান্ধী জাতীয় উদ্যানে যে গাড়িই ঢুকবে, তার গতিবেগ ঘণ্টায় ২০ কিমি রাখতে হবে। জঙ্গলের বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই ঘটনায় বির্তক দানা বেঁধেছে। পশুপ্রেমী মহলের একাংশের দাবি, সাংসদ জনপ্রতিনিধি। তাঁদের দেখে সাধারণ মানুষ শিক্ষা নেয়। কিন্তু তার গাড়িতেই হরিণ চাপা পড়ল। তাও আবার বিধি ভেঙে গাড়ি চালানো হচ্ছিল। এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। প্রসঙ্গত, বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করে বিপাকে পড়েছিলেন অভিনেতা সলমন খান-সহ অন্যরা। সেই মামলায় এখনও তাঁরা রেহাই পাননি।
এদিকে বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত দেড় বছরে পথ দুর্ঘটনায় জাতীয় উদ্যানে আটটি বাঁদরের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের কথায়, “নাগরিকদের পশুদের জীবনের দাম বুঝতে হবে। গাড়ির চালক নির্ধারিত গতিবেগে গাড়ি চালালে হরিণটিকে বাঁচানো যেত। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.