সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অমরনাথে পূণ্যার্থীদের উপর হামলায় ভেঙেছে বিজেপির রক্ষণ। দলের মধ্যে শুরু হয়েছে দোষারোপের পালা। বেনজরিভাবে ভিএইচপি প্রধান মোহন ভাগবত প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কাদায় পড়া গেরুয়া শিবিরকে এই সুযোগে ঠেস দিতে ছাড়েনি শিবসেনাও। বিজেপির উদ্দেশ্যে দলের প্রধান উদ্ধব ঠাকরের খোঁচা, কাশ্মীরে জঙ্গিদের মোকাবিলায় গো-রক্ষকদের পাঠানো দরকার। ওরা যেভাবে নিজেদের দেশপ্রেমিক বলে দাবি করে তাহলে সীমান্তই গো-রক্ষকদের জায়গা হওয়া উচিত।
জাতীয় রাজনীতিতে বরবারই দু-দলের শাশুড়ি-বউমা সম্পর্ক। সংসার ছেড়ে বেরিয়ে যাবে, আবার ফিরেও আসবে। একসঙ্গে থাকবে। তরজাও চলবে। অমরনাথের তীর্থযাত্রীদের ওপর হামলার ঘটনায় শিবসেনা-বিজেপির সমীকরণ কোন দিকে এগোয় তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলের কৌতুহল ছিল। দেখা গেল, চাপে পড়া গেরুয়া শিবিরকে শিবসৈনিকরা আরও প্যাঁচে ফেলতে চায়। শুরুটা করেছিলেন দলের প্রথম সারির নেতা সঞ্জয় রাউত। শেষ করলেন সভাপতি উদ্ধব ঠাকরে। উদ্ধবের ভাষা একেবারে চাঁচাছোলা। সম্প্রতি দেশের নানা প্রান্তে স্বঘোষিত গো-রক্ষকদের তাণ্ডব নিয়ে মুখ খুলেছিলেন শিবসেনা প্রধান। অমরনাথ নিয়ে বিজেপিকে বিঁধতে কৌশলে গো-রক্ষকদের টেনেছেন উদ্ধব। তাঁর বক্তব্য, কাশ্মীরে হামলা রুখতে ব্যর্থ গোয়েন্দারা। ওই জায়গায় তথাকথিত গো-রক্ষকদের পাঠানো উচিত। কারণ, তারা নিরীহদের ব্যাগ থেকে সহজে গো-মাংস খুঁজে নিতে পারে। উদ্ধবের সংযোজন, যে জঙ্গিরা অমরনাথে হামলা চালায় তাদের ব্যাগে গো-মাংস থাকলে বাঁচা মুশকিল হত। এই গোরক্ষকরা সীমান্তে গেলে নিশ্চয়ই নিশ্চয়ই জঙ্গিদের ব্যাগ থেকে গো-মাংস খুঁজে নেবে বলে মনে করেন উদ্ধব।
মহারাষ্ট্রের গণেশ চতুর্থী নিয়ে একটি সমাবেশে এভাবেই শরিক দলকে বেঁধেন শিবসেনা প্রধান। গণেশ চতুর্থীতে শব্দ দূষণ নিয়ে আদালতের একটি রায় নিয়েও মহারাষ্ট্র সরকারকে তিনি একহাত নেন। দুই দলের মধ্যে নানা বিষয়ে মতবিরোধ থাকলেও অমরনাথ ইস্যুতে শরিকের এই মন্তব্যে বিড়ম্বনা বেড়েছে বিজেপি শিবিরের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.