Advertisement
Advertisement
Sheikh Hasina

রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অফ অনার হাসিনাকে, রাজঘাটে পুষ্পস্তবক অর্পণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর

রাষ্ট্রপতি ভবনে হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

Sheikh Hasina gets warm welcome from PM Modi at Rashtrapati Bhavan

রাষ্ট্রপতি ভবনে মোদি-হাসিনা। ছবি- এএনআই

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:June 22, 2024 10:29 am
  • Updated:June 22, 2024 10:29 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিন সফরের আগেই দুদিনের সফরে ভারতে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ, শনিবার সকালে রাষ্ট্রপতি ভবনে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানানো হয়। দেওয়া হয় গার্ড অফ অনার। সেখানেই হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুদেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন দুজনে। এর পর দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে বৈঠকে বসবেন মোদি-হাসিনা। এছাড়াও এদিন দিল্লির রাজঘাটের মহাত্মা গান্ধীর সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন হাসিনা। স্বাক্ষর করেন পরিদর্শন বইয়ে।  

গতকাল, শুক্রবার বিকেলে দিল্লি বিমানবন্দরে অবতরণ করে শেখ হাসিনার বিশেষ বিমান। সেখানে জাঁকজমকপূর্ণভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে। সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। বিদেশমন্ত্রকের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল,আগামী জুলাই মাসে চিন যাওয়ার আগে হাসিনার এই ঝটিকা সফরে দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

Advertisement

আজ, বৈঠকের আগে রাইসিনা হিলসে স্বাগত জানানো হয় হাসিনাকে। এর পর মোদির সঙ্গে অন্যান্য সকলের সঙ্গে দেখা তিনি। বেশ কিছুক্ষণ কথাও হয় দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। এদিন রাজঘাটে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর হাসিনার হাতে তুলে দেওয়া হয় স্মারক। 

জানা গিয়েছে, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের পর অন্তত ১৪টি চুক্তি ও মউ স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চলছে। সব মিলিয়ে ১০টির বেশি চুক্তি ও মউ স্বাক্ষর হতে পারে। এর মধ্যে অন্তত চারটির মেয়াদ শেষে পুনর্নবীকরণ হওয়ার কথা রয়েছে। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে ফের ভারতে এসেছেন হাসিনা। গত ৯ জুন, রেকর্ড গড়ে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেন মোদি। দিল্লিতে তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসিনা। জানা গিয়েছে, আগামিদিনে দুদেশের সম্পর্ককে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে ও বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করতে আজকের এই বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

অন্যদিকে, ভারত সফর শেষে ৯ থেকে ১২ জুলাই হাসিনা থাকবেন চিনে। কমিউনিস্ট দেশটি কিন্তু ভারতকে টপকে বাংলাদেশের সঙ্গে সখ্য স্থাপনের জন্য তৎপর। আর বেজিং এই গতিবধির উপর নজর রাখছে দিল্লি। বিশ্লেষকদের মতে, চিনে যাওয়ার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে শলাপরামর্শ করে নিতে পারেন হাসিনা। উল্লেখ্য, প্রথমবার একসঙ্গে সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি চিন ও বাংলাদেশ। এবার সামরিক ক্ষেত্রেও ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে উদ্যোগী হয়েছে বেজিং। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে ঢাকায় আনাগোনা বেড়েছে চিনা আধিকারিকদের। ফলে বন্ধুদেশের উপর কতটা প্রভাব বিস্তার করছে ‘ড্রাগন’ সেদিকেই তীক্ষ্ণ নজর নয়াদিল্লির। কুটনৈতিক মহলের ধারণা, চিনে যাওয়ার আগে মোদিকে আশ্বস্ত করে যেতে চাইছেন ‘ভারতবন্ধু’ হাসিনা।

[আরও পড়ুন: NEET বিতর্কের মাঝে বাতিল কেন্দ্রীয় স্তরের আরেক পরীক্ষা, ‘অনিবার্য কারণ’ দেখাল NTA

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement