সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসিনার পতনের পর অরাজক বাংলাদেশে দুর্বৃত্তদের তাণ্ডব শুরু হয়েছিল। ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে ধ্বংসলীলার বহর। মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগর শহিদ স্মৃতি কমপ্লেক্সেরও দফারফা করেছে দুষ্কৃতীরা। সেখানে ৬০০টি ছোট-বড় ভাস্কর্য ভাঙা হয়েছে বলে খবর। মুজিবর রহমানের মূর্তির পাশাপাশি ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১-এ পাকিস্তানের আত্মসমর্থনের ভাস্কর্যেও আঘাত হানা হয়েছে। এই ঘটনাকে ‘ভারত বিরোধিতা’ বলে মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর।
১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে পরাজয় মানে পাক সেনা। ওই দিন ভারতীয় সেনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ চুক্তি সম্পাদিত হয়। সেই ঐতিহাসিক চুক্তির ভাষ্কর্যটিকেই রড, বাঁশ ও হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। ভাস্কর্যটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও সেটির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ‘ভারত বিরোধী’রাই এই কাজ করেছেন, দাবি কংগ্রেস নেতা শশী থারুরের। তিনি টুইট করেছেন, “১৯৭১ এর স্মৃতি বিজরিত মুজিবনগর শহিদ স্মৃতি কমপ্লেক্সের দুষ্কৃতী তাণ্ডব দেখে খারাপ লাগছে। এভাবেই ইন্ডিয়ান কালচারাল সেন্টার, হিন্দু মন্দির, হিন্দুদের বাড়িতে লজ্জাজনক হামলা হয়েছে। সহনশীল মুসলিমরাই সংখ্যালঘুদের বাড়ি, উপাসনালয় পাহারা দিচ্ছে, সেই খবরও সামনে আসছে।”
Sad to see images like this of statues at the 1971 Shaheed Memorial Complex, Mujibnagar, destroyed by anti-India vandals. This follows disgraceful attacks on the Indian cultural centre, temples and Hindu homes in several places, even as reports came in of Muslim civilians… pic.twitter.com/FFrftoA81T
— Shashi Tharoor (@ShashiTharoor) August 12, 2024
শশী আরও বলেন, সংখ্যালঘুদের আক্রমণে স্পষ্ট, বাংলাদেশের একশ্রেণির মানুষের উদ্দেশ্য ঠিক কী! তবে তিনি আরও বলেন, “এই অস্থির সময়ে ভারত বাংলাদেশের জনগণের পাশে আছে, কিন্তু নৈরাজ্যের এই বাড়াবাড়িকে কখনই ক্ষমা করা যায় না।”
বাংলাদেশি মিডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, ৫ আগস্ট বিকেল পাঁচটায় মুজিবনগর শহিদ স্মৃতি কমপ্লেক্সের তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা। প্রথমে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যটির মাথা ভেঙে গুঁড়ো করে দেওয়া হয়। এর পর তাণ্ডব চলে ‘১৭ এপ্রিলের গার্ড অব অনার’ ভাস্কর্যটিতে। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের আত্মসমর্থনের ভাস্কর্যগুলোতেও আঘাত করা হয়। কমপ্লেক্সের মধ্যে দেশের মানচিত্রের আদলে তৈরি করা মুক্তিযুদ্ধের ১১টি সেক্টরে যুদ্ধের বর্ণনা সংবলিত ছোট ভাস্কর্যগুলো ভেঙে আশপাশে ছুড়ে ফেলা হয়। আরও এক দল শহিদ স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটকটি ভেঙে নিয়ে যায়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.