সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শাহিনবাগ বিক্ষোভে (Citizenship Amendment Act) বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিপাকে শারজিল ইমাম। শারজিলের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই পাঁচটি রাজ্যে মামলা হয়েছে। তাঁর খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে ৩ রাজ্যের পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁর বিহারের জেহানাবাদের বাড়িতে হানা দিয়েছে পুলিশের যৌথ দল। মঙ্গলবার সেই শারজিলের ভাইকে আটক করেছে বিহার পুলিশ। পাশাপাশি আটক করা হয়েছে তাঁর পরিবারের আরও এক সদস্যকে।
Bihar: Jahanabad police detain brother of JNU student&co-coordinator of Shaheen Bagh protests Sharjeel Imam. Delhi Police y’day conducted raids in Mumbai, Patna, Delhi to look for Sharjeel Imam & arrest him for his “cut off Assam from India” remark he allegedly made few days ago
— ANI (@ANI) January 28, 2020
সোমবার শারজিলের জেহানাবাদের বাড়িতে হানা দেয় দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ এবং বিহার পুলিশের যৌথ দল। এই তিন রাজ্যেই জেএনইউয়ের ওই প্রাক্তনীর বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের হয়েছে। সব মিলিয়ে মোট পাঁচটি রাজ্যে শারজিলের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা হয়েছে। অন্তত তিনটি রাজ্যের পুলিশ তাঁকে হন্যে হয়ে খুঁজছে। দিল্লি ও বিহার পুলিশের কয়েকটি দল দেশের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চালাচ্ছে শারজিলের খোঁজে। তাঁর খোঁজ না পেয়ে অবশেষে তাঁর ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রের খবর, বিহারের জেহানাবাদের বাড়ি থেকেই শারজিলের ভাইকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শারজিলের বর্তমান ঠিকানা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। শারজিলের ভাইয়ের পাশাপাশি আরও একজনকে আটক করা হয়েছে। তবে, তাঁর পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এখানেই শেষ নয়, জেএনইউয়ের তরফেও শারজিলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে কেন এমন অভিযোগ উঠল? তা জানতে চেয়ে শারজিলকে ৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল কমিটির কাছে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যাতে দেখা যাচ্ছে জেএনইউ প্রাক্তনী শার্জিল ইমাম অসমকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ডাক দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, “আমরা ৫ লক্ষ মুসলিম একসঙ্গে হয়ে অসম-সহ উত্তরপূর্বকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেব। স্থায়ীভাবে না হলেও কয়েক মাসের জন্য তো করতেই পারব। উত্তরপূর্ব ভারত বিচ্ছিন্ন হলে তবেই কেন্দ্র সরকার আমাদের কথা শুনবে।” আসলে, অসমে এনআরসি বিরোধিতায় মুসলিমদের একত্রিত হয়ে আন্দোলন করার ডাক দিচ্ছিলেন শারজিল। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই, তাঁর এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ শুরু করেছে পাঁচ রাজ্যের পুলিশ। এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, এটা কি লঘু পাপে গুরুদণ্ড হল না?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.