Advertisement
Advertisement
পওয়ারের নিশানায় উদ্ধব

ফের প্রকাশ্যে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের কোন্দল, পওয়ারের নিশানায় উদ্ধব

NIA-কে ভীমা কোরেগাঁও মামলার তদন্তভার দেওয়া নিয়ে মতভেদ।

Sharad Pawar targets Maharashtra CM Uddhab Thackeray
Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 15, 2020 9:40 am
  • Updated:February 15, 2020 9:40 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের মহারাষ্ট্রের জোট সরকারের কোন্দল প্রকাশ্যে। এবার শরদ পওয়ারের আক্রমণের নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। ভীমা কোরেগাঁও মামলার তদন্তভার রাজ‌্য পুলিশের হাত থেকে সরিয়ে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থাকে (NIA) দিয়েছে কেন্দ্র। প্রাথমিক আপত্তি কাটিয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে মহারাষ্ট্র সরকারও। যা নিয়ে শরিক ন‌্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের তোপের মুখে পড়লেন মহারাষ্ট্রের মুখ‌্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। এই সিদ্ধান্তে আইনশৃঙ্খলা প্রশ্নে রাজ্যের অধিকার খর্ব হয়েছে বলে মন্তব‌্য করে বিষয়টি ‘অসাংবিধানিক’ বলে জানান প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এ নিয়ে শুক্রবার পওয়ার বলেন, “ভীমা কোরেগাঁও তদন্তে রাজ‌্য পুলিশের কয়েকজন কর্তার ভূমিকা আপত্তিকর। আমি চেয়েছিলাম, তাঁদের বিষয়ে তদন্ত হোক। কিন্তু আচমকাই সকালে রাজ্যের মন্ত্রীরা পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন। সেদিনই দুপুরে কেন্দ্র NIA তদন্তের নির্দেশ দিল। আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের তালিকাভুক্ত। কেন্দ্র এভাবে তদন্তভার সরিয়ে অসাংবিধানিক কাজ করেছে। এটা অন‌্যায়। আর সেই ভুল সিদ্ধান্ত সমর্থন করে রাজ‌্য সরকারও অন‌্যায় করেছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন : কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা তুলুক ভারত, আরজি ইউরোপীয় ইউনিয়নের]

মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ এনসিপি-র। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর আপত্তি উড়িয়েই তদন্ত এনআইএ-র হাতে দেওয়ায় সমর্থন করেছেন মুখ‌্যমন্ত্রী উদ্ধব। তার পরেই অতিরিক্ত মুখ‌্যসচিব (স্বরাষ্ট্র) সঞ্জয়কুমার জানান, এনআইএ তদন্তে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের আপত্তি নেই। সব মিলিয়ে জোট শরিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ফের সামনে চলে এল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। জোটের নেপথ্যে মূল চালিকাশক্তি হিসাবে পাওয়ারকেই মনে করা হয়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করায় বিষয়টি অন‌্য মাত্রা পেয়েছে।

দু’বছর আগে ভীমা কোরেগাঁও স্মারকে প্ররোচনামূলক ভাষণের জেরে হিংসা ছড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ করেছিল পূর্ববর্তী বিজেপি সরকার। তার সঙ্গে মাওবাদীদের যোগ ছিল বলে দাবি করে বহু মানবাধিকার কর্মী গ্রে্প্তার হন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement