Advertisement
Advertisement

Breaking News

নির্বাচনের মুখে ফাঁপরে শরদ পাওয়ার, আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়াল এনসিপি সুপ্রিমোর

মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী-সহ ৭৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল মুম্বই পুলিশ৷

Sharad Pawar name allegedly enrolled in a money laundering case
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 27, 2019 5:14 pm
  • Updated:August 27, 2019 5:14 pm  

তপন বকসি, মুম্বই: আর্থিক দুর্নীতি মামলায় এবার নাম জড়াল এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার ও তাঁর ভাইপো অজিত পাওয়ারের৷ মহারাষ্ট্রের স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংক দুর্নীতি মামলায় মঙ্গলবার অজিত পাওয়ার-সহ ৭৫ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করল মুম্বই পুলিশের ইকনমিক অফেন্স উইং। ২০১০ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী ছিলেন অজিত পাওয়ার৷ সূত্রের খবর, এই মামলায় উঠে এসেছে খোদ শরদ পাওয়ারেরও নাম। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগেই যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে৷

[ আরও পড়ুন: রেলের ট্র্যাকম্যানের চাকরিতে আইআইটির ইঞ্জিনিয়ার! হতবাক আধিকারিকরা ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, এই দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় বৃহস্পতিবারই মুম্বই পুলিশকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছিল বম্বে হাইকোর্ট। এজন্য পাঁচ দিনের সময়সীমা বেধে দেওয়া হয় তদন্তকারীদের৷ এর পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ দায়ের করা হল। শুধু এনসিপির নেতৃত্বই নয়, এর সঙ্গে মহারাষ্ট্রের ‘পিজ্যান্টস অ্যান্ড ওয়ার্কার্স পার্টি’ (পিডব্লিউপি)-র নেতা জয়ন্ত পাটিলের নামেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জয়ন্ত মহারাষ্ট্রের স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ৩৪টি শাখার ডিরেক্টরের পদে আসীন ছিলেন। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মুম্বইয়ের এমআরএ মার্গ পুলিশ স্টেশনে ভারতীয় সংবিধানের ১২০(বি), ৪৬৭, ৪৬৫, ৪০৯ ও ৪২০ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে৷

[ আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে দাম, সোনার বাজারে ধস নামার আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা ]

উল্লেখ্য, ২০১৫-তে মহারাষ্ট্রের স্টেট কো-অপারেটিভ ব্যাংকের ঋণ পাইয়ে দেওয়ার বেআইনি পদ্ধতি নিয়ে প্রথম সরব হন সুরিন্দর অরোরা৷ তিনি জানান, আরবিআইয়ের বেঁধে দেওয়া নিয়ম মানা হয়নি। এই মর্মে বম্বে হাই কোর্টে অভিযোগও দায়ের করেন তিনি৷ সেই সময় মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস-এনসিপির জোট সরকারের শাসন চলছিল। নিজের পেশ করা পিটিশনে ২০০৭ থেকে ২০১০-এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে চিনি কল এবং সুতো কলের জন্য বিশেষ নিয়মে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সেই মামলাতেই এতদিন পর পিটিশনারের পক্ষের আইনজীবী মাধবী আয়াপ্পন, শরদ পাওয়ারের নাম যুক্ত করার কথা বলেন৷ আইনজীবী আয়াপ্পন বলেন, ‘‘শরদ পাওয়ার সেই সময় কেন্দ্রে কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। মহারাষ্ট্র কো-অপারেটিভ ব্যাংক দুর্নীতিতে তাঁরও ভূমিকা ছিল। এই দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার সমস্ত প্রমাণ পুলিশের তদন্তকারী নথিতে রয়েছে।’’

[ আরও পড়ুন: জলের নিচ থেকে দেশে হামলার ছক কষছে জইশ, সতর্ক করলেন নৌসেনা প্রধান ]

পার্টি সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠায় স্বভাবতই সরব হয়েছে এনসিপি নেতৃত্ব৷ শরদ পাওয়ারের মেয়ে সুপ্রিয়া সুলে বলেন, ‘‘এখন যা ঘটছে এগুলো মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতির সঙ্গে মেলে না। টেলিভিশনের টিআরপি বাড়ানোর জন্য যেকারও নাম টানা হচ্ছে। উনি এই ধরনের কোনও ব্যাংকের সঙ্গে কোনওদিনই যুক্ত ছিলেন না। ওই ধরনের কোনও ব্যাংকের ডিরেক্টরও ছিলেন না। এখন এক ধরনের নোংরা আর বিদ্বেষমূলক রাজনীতির খেলা চলছে।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement