সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনসিপিতে (NCP) হচ্ছেটা কী! প্রথমে অজিত পওয়ারের বিজেপি যোগের জল্পনা, তারপর সুপ্রিয়া সুলের ১৫ দিনের মধ্যে ‘বোমা ফাটার’ আগাম ভবিষ্যৎ বাণী, সেই ১৫ দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আচমকা দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে শরদ পওয়ারের (Sharad Pawar) ইস্তফা! এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সেই ইস্তফার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতিও দিলেন মারাঠা স্ট্রংম্যান।
মঙ্গলবার সকালে আচমকা পওয়ার দলের সর্বভারতীয় সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন শরদ পওয়ার। জানিয়ে দেন, “আমি জানি কোন সময়ে থামতে হয়।” পওয়ারের (Sharad Pawar) এই সিদ্ধান্তে এনসিপির প্রায় সবস্তরের নেতাই অবাক হয়ে যান। শুরু হয়ে যায় ইস্তফার হিড়িক। এনসিপি বিধায়ক জয়ন্ত পাটিল প্রকাশ্যেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমনকী, এনসিপি কর্মীরা এসে পওয়ারের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করে দেন।
দ্রুত অজিত পওয়ার (Ajit Pawar), শরদকন্যা সুপ্রিয়া সুলে-সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ এনসিপি নেতা পওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁকে বুঝিয়েশুনিয়ে দলের সভাপতি পদে ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। বৈঠক শেষে অজিত পওয়ার ঘোষণা করেন,”শরদজি তাঁর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনায় রাজি হয়েছেন। আমরা একজন কার্যকরী সভাপতি নিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ করেছিলাম। সেই অনুরোধ তিনি রাখতে রাজি হয়েছেন। উনি বলেছেন আমার দু-তিন দিন সময় প্রয়োজন।” অজিত পওয়ার জানিয়েছেন, দলের কর্মীরা বিক্ষোভ বন্ধ করে বাড়ি ফিরলে তবেই তিনি সিদ্ধান্ত পুনরায় ভেবে দেখবেন।
কিন্তু পওয়ারের এই আচমকা ইস্তফার নাটকের কারণটা কী? কেউ কেউ মনে করছেন, দলে ভাঙন আটকাতেই ‘ইমোশনাল কার্ড’ খেলতে চাইছেন তিনি। যাতে দলের সব নেতাকর্মীদের একত্রিত করা যায়। কারণ অজিত পওয়ারের নেতৃত্বে এনসিপির একটা বড় অংশের বিজেপির সঙ্গে হাত মেলানোর একটা প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সেটা আটকাতে মরিয়া পওয়ার নিজেই সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আপাতত তাঁর এই ‘নাটকে’ দলে ঐক্য ফিরতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.