সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরম লজ্জাজনক বললেও কম বলা হয়। কাশ্মীরের পাথর নিক্ষেপকারীরা শহিদ সেনা অফিসার উমর ফৈয়াজের শেষযাত্রাকেও রেয়াত করল না। ভূমিপূত্র ফৈয়াজকে মঙ্গলবার রাতে এক বিয়ের অনুষ্ঠান ফেরার পথে তাঁকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। তারপর সোপিয়ানে তাঁর গুলিতে ঝাঁঝরা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কিন্তু তাঁর মৃতদেহকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে এদিন যেন গোটা উপত্যকা ভিড় জমিয়েছিল। তবে ভূমিপুত্রর মৃত্যুও যে ভারতীয় সেনার প্রতি কাশ্মীরের যুব সম্প্রদায়ের বিরূপ মনোভাব দূর করতে পারেনি তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ মিলল এদিন। ফৈয়াজের শেষযাত্রাকে নিশানা করে এদিন বিক্ষোভ দেখানো হয়। পাথর নিক্ষেপকারীদের বিক্ষোবের মধ্যে গুলি চলার আওয়াজও শোনা যায়। পরে বিক্ষোভ থামলে মৃতদেহ কবর দিতে পারেন পরিজনরা।
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের কুলগাম এলাকারই বাসিন্দা উমর। গতবছরই ভারতীয় সেনার চিকিৎসক হিসেবে কাজে যোগ দেন তিনি। এই স্বল্প পরিসরেও সেনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে উঠেছিলেন। আখনুর জেলার রাজরিফ এলাকায় নিযুক্ত ছিলেন তিনি। সম্প্রতি কয়েকদিনের জন্য ছুটিতে ছিলেন। গিয়েছিলেন এক বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে। পুলিশ ও সেনার অনুমান, সেখান থেকে ফেরার পথেই অতর্কিতে সেনা-আধিকারিকের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। তুলে নিয়ে গিয়ে কোনও নির্জন স্থানে নির্মমভাবে হত্যা করে তাঁকে। এরপর সোপিয়ান জেলার হারমেন গ্রামে ফেলে রেখে যায়। গুলিতে প্রায় ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিল তরুণ আধিকারিকের দেহ।
তরুণ লেফটেন্যান্টের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ও ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রী অরুণ জেটলি। ঘটনাকে কাপুরুষোচিত হামলা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন খুব ভাল স্পোর্টসম্যান ছিলেন উমর। উপত্যকার সন্ত্রাসবাদকে নির্মূল করতে বদ্ধ পরিকর ছিলেন তিনি। উমরের পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন জেটলি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.