Advertisement
Advertisement
শাহিনবাগ

CAA বিরোধী আন্দোলনের ভরকেন্দ্র শাহিনবাগ এখন করোনা হটস্পট

দ্বিতীয় দফার লকডাউন পর্বে রাজধানী দিল্লি আরও সতর্ক, খানিকটা সন্ত্রস্তও।

Shaheen Bagh becomes Covid-19 hotspot as Delhi expands list
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 17, 2020 8:48 am
  • Updated:April 17, 2020 8:48 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (CAA) বিরোধী আন্দোলনের ভরকেন্দ্র শাহিনবাগ এখন করোনা হটস্পট। শাহিনবাগের অন্তর্ভুক্তির সঙ্গেই রাজধানীতে ‘কন্টেনমেন্ট জোন’ বেড়ে ৬০ হল।

[আরও পড়ুন: সেফটি টেস্টে ডাহা ফেল চিনা PPE, প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা]

বৃহস্পতিবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দু’টি হটস্পটের কথা  উল্লেখ করেছিলেন, যেখানে গত ১৫ দিন ধরে একটিও করোনা পজিটিভ কেস পাওয়া যায়নি। ওই হটস্পট দু’টি হল বসুন্ধরা এনক্লেভ ও খিচরিপুর। চারপাশে করোনা আতঙ্কে রাজধানীর জন্য তা ছিল খনিকের স্বস্তির শ্বাস। তবে ওইদিন সন্ধায়  রাজধানীবাসীর উদ্বেগ বাড়িয়ে হটস্পট হিসেব শাহিনবাগের কথা ঘোষণা করে কেজরি সরকার। জানা গিয়েছে, ৬ নম্বর রাস্তার ‘এ’ ব্লকের আবুল ফজল এনক্লেভ এবং ৩-৫ নম্বর স্ট্রিটের পূর্ব রামনগর শাহদরাও কন্টেনমেন্ট জোনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ৬২ করোনা আক্রান্ত চিহ্নিত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত ১ হাজার ৫৭৮ করোনা পজিটিভের সন্ধান মিলেছে। এর মধ্যে ৩২ জনের  মৃত্যু হয়েছে। বাকি আরও ৪০ জনকে সুস্থ হয়ে ওঠায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, সরকারি পরিসংখ্যান মতে শুক্রবার পর্যন্ত গোটা দেশে করোনার ৪৩৭ জনের মৃত্যুর হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন  ১৩ হাজার ৪৪০ জন।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফার লকডাউন পর্বে রাজধানী দিল্লি আরও সতর্ক, খানিকটা সন্ত্রস্তও। শুনশান রাস্তার মোড়ে মোড়ে শুধু পুলিশি প্রহরা। চওড়া রাস্তার অর্ধেকের বেশি জুড়ে নাকাবন্দি। একটি গাড়ি যেতে পারে এমন জায়গা রাখা। মুখে মাস্ক পরে, খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখে পরিচয়পত্র দেখাতে হচ্ছে সকলকেই। গাড়ি থেমে নামার দরকার নেই তা সেকথা ইশারাতেই বলে দেওয়া হচ্ছে প্রথমেই।  পুলিশি কড়াকড়ি তো রয়েইছে তবে রাজধানীর মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবেই যে লকডাউন মেনে চলছেন সেকথা বলতেই হবে। অনেকে অবশ্য একে চোর পালালে বু্দ্ধি বাড়ে বলে সমালোচনা করতেই পারেন। তবলিঘি জামাতের ঘটনায় দিল্লির করোনা পরিস্থিতি যে জটিল হয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই দিল্লি সরকার ও এখানকার মানুষেরা আগে থেকে সতর্ক হলে দেশে করোনা সংক্রমণের তালিকায় দিল্লি প্রথম তিনের মধ্যে থাকত না বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।

মাসখানেক আগেই দিল্লির হিংসার ঘটনায় দিল্লি পুলিশের সমালোচনায় সকলেই মুখর হয়েছিলেন। তবে, করোনা মোকাবিলার ক্ষেত্রে দিল্লি পুলিশ যেন ত্রাতার ভূমিকায়। রাজধানীর ৬০টি এলাকাকে করোনা হটস্পট হিসেব ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। শহরের মাঝখানেই মান্ডি হাউস মেট্রো স্টেশনের কাছেই বেঙ্গলি মার্কেট চত্বর সেই তালিকার মধ্যেই রয়েছে। তার সামনে কড়া পুলিশি প্রহরার মধ্যেই পুলিশের মানবিক মুখও চোখে পড়ল। সিনেমার পর্দায় হোক বা সংবাদমাধ্যমের খবরে পুলিশকে হাত পেতে টাকা নিতে দেখা দৃশ্য বিরল নয়। এখানেও সেই দৃশ্য দেখতে পাওয়া গেল। তবে, এলাকার বাসিন্দারা বাইরে বেরতে পারবেন না। তাই পুলিশের হাতে টাকা দিচ্ছেন তারাই নিত্যপ্রয়োজনীয় বা জরুরি জিনিসপত্র আনিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন।

[আরও পড়ুন: টিকিট বাতিলের টাকা ফেরত দিতে বাধ্য বিমান সংস্থাগুলি, নির্দেশ DGCA’র]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement