সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতীতে বহুবার যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। তারপর বিয়ে ঠিক হতেই শুরু হয় ব্ল্যাকমেল। ধর্ষণের সময় তুলে রাখা তরুণীর অশ্লীল ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও আসে। এককথায় নির্যাতিতার উপর চলছিল জোর ‘ব্ল্যাকমেলিং’। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই বড়সড় সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেললেন। সমস্যার মূল উপড়ে ফেলতে প্রাণেই মেরে দিলেন নিজের ধর্ষককে।
নির্যাতিতার বয়স ২৪। দিনের পর দিন যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন। তারপর এল ব্ল্যাক মেলিংয়ের সমস্যা। মাথা ঠিক রাখতে না পেরে সেই সাহসিনীই ধর্ষককে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। সোমবারের ঘটনা। কীভাবে খুন করা হল? ধর্ষকের চোখ প্রথমে আঠা দিয়ে বন্ধ করে দেন ওই তরুণী। তারপর গলার নলি কেটে খুন করেন। জেরার মুখে পড়ে খুনের ঘটনার এরকম বিবরণই শোনা গেল ওই নির্যাতিতার কাছে।
সোমবারই চেন্নাই পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবারই আদালতে পেশ করা হয়েছে তরুণীকে। জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন যে গত চার বছর ধরে আম্মান শেখর নামে ওই ব্যক্তি তাঁর উপর যৌন অত্যাচার চালাতেন। এবং সেই সময়কার কিছু ছবি শেখর নিজের কাছে রেখে দিয়েছিল। আর সেসব ছবি নিয়েই শেখর তারপর ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে তাঁকে। সেটাই যখন বাড়তে বাড়তে সহ্যের সীমা ছাড়ায়, তখন তিনি শেখরকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
জেরায় ২৪ বছরের ওই তরুণী স্বীকার করে নিয়েছেন, শেখরের দুষ্কর্মের কথা তাঁদের বাড়ির লোকেরাও জানত। কিন্তু মেয়েটি কিছুই করতে পারত না। কারণ, তাঁর পরিবারকে প্রায়ই কিছু অর্থ দিয়ে সাহা়য্য করত শেখর। শেখরের মেয়ের সঙ্গেও নির্যাতিতার যোগাযোগ ছিল। কিন্তু শেখরের মেয়েকেও তাঁর বাবার সম্বন্ধে বলে কোনও কাজ হয়নি। কিন্তু তরুণীর বিয়ে ঠিক হয়েছে, সেখবর পেতেই শেখর ব্ল্যাকমেল করার পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। চাইছিল, যাতে ভয় পেয়ে মেয়ের বিয়ে ভেস্তে যায়। তখনই তিনি শেখরকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন।
সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর পরই নির্যাতিতা বড়দিনের উপহার দেওয়ার নাম করে আডিয়ার এলাকায় শেখরকে ডাকেন। তারপরই শেখরকে খুন করেন। পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, দিনের পর দিন ভয় নিয়ে বাঁচা অসম্ভবপর হয়ে উঠছিল। এবং শেখরকে বুঝিয়েও কাজ হয়নি। তাই খুন করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এমনটাই জানা গিয়েছে একটি ইংরেজি দৈনিক সূত্রে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.