ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত বছর পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু জনসাধারণের জীবনে নোট বাতিলের প্রভাব এখনও বর্তমান। এখনও অনেক মানুষের কাছে রয়ে গিয়েছে পুরনো নোট। কিন্তু ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার আর কোনও উপায় নেই। যাঁদের কাছে মোটা অঙ্কের পুরনো নোট বাড়িতে থেকে গিয়েছে, তাঁদের রীতিমতো মাথায় হাত। এমনই ঘটনা ঘটেছে এক যৌনকর্মীর সঙ্গেও। তাঁর কাছে ১০ হাজার টাকার পুরনো বাতিল নোট এখনও রয়েছে। কোনও উপায় না দেখে অবশেষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের পর বাংলাদেশেই প্রথমে চাকরি করতেন বাংলাদেশি ওই মহিলা। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থের লোভ দেখিয়ে এক সহকর্মী তাঁকে ভারতে আসতে বলেন। ভাল চাকরির আশা নিয়ে ভারতে এসেছিলেন তিনি। আর তখনই ঘটে বিপত্তি। তাঁকে যৌনব্যবসায় ঠেলে দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে পুণের একটি পতিতাপল্লী থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল তাঁকে। তারপর বাংলাদেশে ফেরার দীর্ঘ লড়াই চালিয়ে যান তিনি। ফলে পুরনো বাতিল নোট নিয়ে আর ভাবা হয়নি। অবশেষে বাংলাদেশে ফেরার সবুজ সংকেত পেয়েছেন। আর তারপরই বাতিল নোট বদলের জন্য প্রধানমন্ত্রীর শরণাপন্ন হন তিনি। মোদি ও বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে উদ্দেশ্য করে একটি চিঠি লিখে অনুরোধ জানান, তাঁর বাতিল নোট যেন কোনওভাবে বদলে নতুন নোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তিনি জানিয়েছেন, পতিতাপল্লীতে থাকাকালীন খদ্দেরদের কাছ থেকে ওই অর্থ পেয়েছিলেন তিনি। যদিও তা সেখানকার মালিকের কাছেই রয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত অবশ্য কেন্দ্রের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি।
বাংলাদেশি মহিলা বলেন, “৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক নেপালি মহিলার কাছে আমায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। তারপর আমাকে বেঙ্গালুরুতে এক মহিলার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। যে আমায় দেহব্যবসায় নামিয়ে দেয়। অবশেষে পুণে থেকে রেসকিউ ফাউন্ডেশন উদ্ধার করে আমাকে। আমার যাবতীয় টাকা কড়ি, জিনিসপত্র ছিল, সবই যৌনপল্লীর মালিক নিয়ে নেয়।” সেই ফাউন্ডেশনের তরফে মহিলার চিঠিটি মোদিকে টুইট করা হয়। কেন্দ্র এবিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধও জানানো হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.