সংবাদ প্রতিদিন, ডিজিটাল ডেস্ক: গরমের ছুটিতে ভাবছেন শিমলা ঘুরতে যাবেন? আপনার শহরের তীব্র গরমে হাঁসফাঁস পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে কিছুটা সময় কাটিয়ে আসতে চান শৈলশহরে? ডেস্টিনেশন যদি শিমলা হয় তাহলে দ্রুত তা বদলে ফেলুন। কারণ আপনাকে শিমলা যেতে নিষেধ করছেন সেখানকার বাসিন্দারাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই পর্যটকদের পাহাড় ভ্রমণে যেতে নিষেধ করে বেশ কিছু পোস্ট করেছেন শিমলার বাসিন্দা এবং পরিবেশপ্রেমীরা।
যে পর্যটনের উপর ভর করে তাদের রুজিরুটি সেই পর্যটকদেরই শৈলশহরে না যেতে অনুরোধ করছেন শিমলাবাসী। কিন্তু কেন? দীর্ঘদিন ধরে তীব্র জলসংকটে ভুগছে শিমলা। শহরের প্রয়োজনের তুলনায় অর্ধেকও নয় জল সরবরাহ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শিমলা শহরে প্রতিদিন অন্তত ৪৫০ লক্ষ লিটার জলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে সেই সরবরাহের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮০ লক্ষ লিটারে। মঙ্গলবার তাও পায়নি শিমলাবাসী। মঙ্গলবার সরবরাহ করা হয়েছিল মাত্র ১৬০ লক্ষ লিটার জল।
এর আগে উপযুক্ত পরিমাণ জল সরবরাহের দাবিতে বিক্ষোভও হয়েছে। রেল রোকো, ধরনার মত আন্দোলনও করেছেন স্থানীয়রা। এর আগে শক্ত হাতে এই বিক্ষোভ দমন করার চেষ্টাও করেছে পুলিশ। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষও হয় বেশ কয়েক দফা। হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হয় আদালতও। শিমলা হাই কোর্টের নির্দেশে আপাতত গোটা হিমাচল প্রদেশে ইমারত নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। সামাজিক প্রয়োজনে যথেচ্ছ জলের ব্যবহারেও রাশ টানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। কিন্তু এসব সত্ত্বেও সমস্যা কমছে না কিছুতেই।
এই পরিস্থিতিতে পর্যটকদের আগমনে আরও বাড়ছে সমস্যা। জলের সংকট হচ্ছে তীব্রতর। তাই কার্যত বাধ্য হয়েই পর্যটকদের শৈলশহরে প্রবেশ না করতে অনুরোধ করছেন স্থানীয়রা। উল্লেখ্য, এই সময়ই পর্যটনের জন্য মরশুমের সেরা সময়। প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার পর্যটক পা রাখেন শিমলায়। এই অবস্থায় যদি পর্যটকদের আগমন বন্ধ হয় তাহলে মোটা অঙ্কের লোকসান হতে পারে হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ছোট ব্যবসায়ীদের। শিমলায় এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের পুরো জীবনযাত্রায় নির্ভর করে পর্যটনের উপর। পর্যটকের আগমন বন্ধ হলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা পড়বেন তাঁরাই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.