Advertisement
Advertisement

প্রতিবাদের রূপ বদলে হিংসাত্মক আন্দোলন, BHU-তে আহত বহু

ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে ধরনা, পুলিশকে লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা...

Several students injured as BHU protest turns violent
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 25, 2017 4:16 am
  • Updated:September 25, 2017 4:16 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানি হয়েছে, এই অভিযোগে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছিল আন্দোলন। কিন্তু শনিবার রাতে সেই আন্দোলনই রূপ বদলে হিংসাত্মক চেহারা নিল। পুলিশকে লক্ষ্য করে উড়ে এল পেট্রল বোমা। শেষ পর্যন্ত পুলিশকে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হল। অভিযোগ, পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন এক ছাত্রী-সহ অন্তত ১০ পড়ুয়া, দু’জন সাংবাদিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’দিনের বারাণসী সফর শেষ করে ফিরে যাওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটে। সোমবার থেকে ফের নতুন করে আন্দোলন শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

[চিন-পাকিস্তানকে চাপে রাখতে অত্যাধুনিক ড্রোন কিনছে ভারত]


তবে রবিবার রাত থেকে পরিস্থিতি খানিকটা স্বাভাবিক হয়েছে। আন্দোলন-পালটা পুলিশি লাঠিচার্জে ক্যাম্পাস রণক্ষেত্র হয়ে উঠলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে পুজোর ছুটি তিনদিন আগেই ঘোষণা করে দেয়। খুলবে ফের ৩ অক্টোবর। শনিবার রাতে আন্দোলনকারীরা জোর করে উপাচার্যের ঘরে ঢুকতে চায় বলে অভিযোগ। পুলিশি লাঠিচার্জের প্রতিবাদে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও সমর্থন পেয়েছেন আক্রান্ত পড়ুয়ারা। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, দেরাদুন, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা BHU-র পাশে এসেছে দাঁড়িয়েছেন। ২১ সেপ্টেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারত কলা ভবনের কাছে গার্লস হস্টেলের এক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির প্রতিবাদে ধরনায় বসেন অন্যান্যরা। আক্রান্ত ছাত্রীর অভিযোগ, ত্রিবেণী কমপ্লেক্সের হস্টেলে ঢোকার মুখে বাইকে চেপে তিন যুবক তাঁর শ্লীলতাহানি করে। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। হস্টেলের ওয়ার্ডেনের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েও ফল না মেলায় আন্দোলনে বসেন পড়ুয়ারা।


এরপরই ঘটনায় রাজনৈতিক রং লাগে। অভিযোগ, প্রতিষ্ঠান বিরোধী আন্দোলনের ফায়দা তুলতে হাজির হন কংগ্রেস নেতারা। প্রায় ১৫০০ নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাঁদের লক্ষ্য করে পেট্রল বোমা ছোড়ে আন্দোলনকারীরা। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বর ও প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ পিএল পুনিয়া আন্দোলনে যোগ দিতে এলে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। ডিভিশনাল কমিশনার নীতিন গোকর্ণের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। BHU কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক এফআইআর দায়ের হয়েছে। যার মধ্যে ছাত্রীর শ্লীলতাহানি, ছাত্রছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ রয়েছে।

[‘প্রাচীন ভারতে দুর্গা ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, লক্ষ্মী অর্থমন্ত্রী’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement