সুব্রত বিশ্বাস: করোনার মারে ধাক্কা খেছে অর্থনীতি। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলির অবস্থাও টালমাটাল। কর্মী সংকোচন ও বেতনে কোপ পড়েছে কর্মীদের। এহেন সংকটকালে ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় রেলও। ফলে কর্মীদের নানা ধরনের ভাতা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সরকারি সংস্থাটি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেতনে কোপ পড়েছে কর্মীদের। এহেন পরিস্থিতিতে অফিসের মধ্যে জুয়া খেলার অপরাধে সাত কর্মীকে দপ্তর থেকেই গ্রেপ্তার করেছে রেল পুলিশ। কোটা ডিভিশনের গঙ্গাপুর স্টেশনে ঘটা এই ঘটনার পর নড়ে বসেছে প্রাশাসন। অভিযুক্ত সাত কর্মীর বিরুদ্ধে চার্জশিট ইস্যু করেছে রেল প্রশাসন।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ইলেক্ট্রিক বিভাগের দপ্তরে জুয়ার বসেছিল। খবর পেয়ে তারা সেখানে হানা দেয়। সাতজনকে হাতেনাতে ধরা হয়। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে জামিনে ছাড়া হয়। জিআরপি থানার আধিকারিক ঘনশ্যাম জানিয়েছেন, ধৃতরা বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী। সামাজিক দূরত্ব না মেনে, মাস্ক ছাড়াই দপ্তরের মধ্যে দিব্বি জুয়ার আসর সাজিয়ে বসেছিলেন তাঁরা। এই অপরাধে প্রত্যেককে অভিযুক্ত করে জরিমানাও নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই অফিসের মধ্যেই চলছিল জুয়ার আসর। তাতে নিয়মিত যোগ একাংশ কর্মী। আয় কমে যাওয়ায় জুয়ার মাধ্যমে ভাগ্যকে নির্ভর করে মোটা টাকা আয় করে নেওয়ার সুযোগ নিতে আগ্রহী হয়ে ওঠেন অনেকেই। যদিও সঠিক সময়ে রেল পুলিশের তৎপরতায় সেই চক্র ভেঙে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে যাত্রীবাহী ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক না হওয়ায় আয় কমেছে রেলের। বছরে যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে রেলের যায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। যা এখন অনিশ্চিত। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে দেশে ২৩০টি ট্রেন চলছে। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ ট্রেনেই আসন ফাঁকা থেকে যাচ্ছে। বাকি ৩০ শতাংশ ট্রেনে যাত্রী হচ্ছে। এতে প্রমাণ হচ্ছে চাহিদা ততটা নেই। সব মিলিয়ে আয় কমায় কর্মীদের বেশ কিছু ভাতা দেওয়া বন্ধ করেছে রেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.