সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে বাড়ির কর্ত্রী, তাঁর মা ও শিশু কন্যাকে পণবন্দি করে রাখল পরিচারিকা ও তার প্রেমিক৷ শিশুটির মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে রেখে টাকা দাবি করে প্রেমিক৷ বাধ্য হয়ে এটিএম থেকে ৩০ হাজার টাকা তুলে দুষ্কৃতীদের হাতে দেয় মুম্বই নিবাসী ছুমন দাসের পরিবার৷ এছাড়া নগদ আরও ১৮ হাজার টাকা নিয়ে চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা৷ কিন্তু তার আগেই ছুমনের স্বামী ও পুলিশের তৎপরতায় ধরা পড়ে যায় ২১ বছরের পরিচারিকা, তার প্রেমিক ও আরও দুই শাগরেদ৷
বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত এমনই টানটান রোমহর্ষক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে আন্ধেরিতে৷ প্রাক্তন সাংবাদিক বর্তমানে ছবি প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে যুক্ত ছুমন দাস জানান, বছর দুই আগে শিলিগুড়ির বাসিন্দা বার্থা রোলাকে বৃদ্ধা মা ও ছোট মেয়ের দেখাশোনা করার জন্য কাজে নিয়োগ করেন ছুমন৷ বৃহস্পতিবার দুপুর ৩.১৫ মিনিট নাগাদ প্রেমিক ও তার দুই বন্ধুকে বাড়ির দরজা খুলে দেয় বার্থা৷ সেই সময় ছুমন বাড়ি ছিলেন না৷ তাঁর স্বামী ববিও শুটিংয়ের কাজে আসামে ছিলেন৷ আততায়ীরা ছুমনের মা অলিকে বেঁধে রেখে টাকা দাবি করে৷ ছুমনের মেয়ের মাথায় বন্দুক ঠেকাতেই অলি তাদের এটিএম কার্ড বের করে দেন৷ এরপর অলিকে নিয়ে বার্থার প্রেমিক এটিএম থেকে ৩০ হাজার টাকা তুলে আনে৷
বিকেলে ছুমন বাড়ি ফিরলে তাঁকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে ১৮ হাজার টাকা আদায় করে বার্থা৷ এই সময় বেশ কয়েকবার বাড়িতে ফোন করে সাড়া পাননি ববি৷ ছুমন একবার তাঁর ফোন রিসিভ করলে গালিগালাজ করে বার্থার প্রেমিক৷ সেই কথা শুনতে পান ববি৷ সন্দেহ হওয়াতে তখনই আন্ধেরি থানায় ফোন করেন তিনি৷ পুলিশ এসে পৌঁছতেই চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা৷ কিন্তু শেষপর্যন্ত ধরা পড়ে যায়৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.