Advertisement
Advertisement

Breaking News

ইসরোর সাফল্য-ব্যর্থতা

‘এভাবেও ফিরে আসা যায়’, হাজারও ব্যর্থতা সামলে সাফল্যের আশায় বুক বাঁধছে ইসরো

গত ৫০ বছরে ইসরোর ইতিহাসে বেশ কয়েকটি ব্যর্থতার নজির আছে।

Series of failour in a number of experiment of ISRO,still it is successful
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:September 7, 2019 4:36 pm
  • Updated:September 7, 2019 4:36 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৈজ্ঞানিক পরীক্ষানিরীক্ষায় সাফল্য, ব্যর্থতা আছেই। আর তা আছে বলেই বিজ্ঞানের অগ্রগতি, আরও উচ্চতায় পৌঁছানোর অদম্য ইচ্ছা বিরাজমান। কে না জানে, ব্যর্থতাই সাফল্যের ভিত? সেই ভিত মজবুত হলেই সেই পথ ধরে আসে সাফল্য। ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোও এর ব্যতিক্রম নয়। যে কোনও আবিষ্কারের প্রতি পদে পদে ব্যর্থ হয়েও, নিজস্ব মেধা আর অধ্যাবসায় দিয়ে সেই ব্যর্থতা ঝেড়ে ফেলে উঠে দাঁড়িয়ে ছুঁয়েছে সাফল্যের নিশান। তাই চন্দ্রযান ২-ও একদিন ঠিক ১০০ শতাংশ সাফল্য এনে দেবে, ইতিহাস সেই আশাই জোগাচ্ছে।

[আরও পড়ুন: খালি পায়ে কলেজ যাত্রা থেকে ইসরোর চেয়ারম্যান, অনুপ্রেরণা দেবে শিবনের জীবনযুদ্ধ ]

বিজ্ঞানী সদা আপন সাধনায় মগ্ন। অর্জিত বিদ্যা, অভিজ্ঞতা, নিজস্ব ভাবনাচিন্তা প্রয়োগ করে মৌলিক উদ্ভাবনই তাঁর লক্ষ্য। তাই সাফল্য বা ব্যর্থতায় বিজ্ঞানীর উচ্ছ্বাস কিংবা হতাশার কোনও উচ্চকিত বহিঃপ্রকাশ হয় না। ইসরোও এর ব্যতিক্রম নয়। অর্ধশতাব্দী ধরে নানা ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। হতোদ্যম হয়নি কখনও। ১৯৭৯ থেকে ২০১৯ – এই কয়েকবছরে কোনও একটি প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে বেশ কয়েকবার ব্যর্থতার মুখ দেখেও শেষপর্যন্ত তা কাটিয়ে উঠেছে ইসরো। আর সেখানেই পরিকাঠামোগত বিষয়ে পিছিয়ে থেকেও বিশ্বের কাছে নিজের জায়গা অনেক উঁচুতে নিয়ে গিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা।
১৯৭৯ সালে প্রথম পরীক্ষামূলক লঞ্চ ভেহিক্যাল এসএলভি-৩, একটি স্যাটেলাইটকে পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করার উদ্দেশে ৪০০ কিলোমিটার পাড়ি দেয়। কিন্তু মাঝপথে অভিযান ব্যর্থ হয়।
১৯৮২ সালে ইনস্যাট ১এ স্যাটেলাইট প্রেরণ করা হয়েছিল ৭ বছর ধরে কাজ করতে পারবে বলে। কিন্তু ১৮ মাস কাজ করার পরই যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য তা কার্যকারিতা হারাতে থাকে। অবশেষে ব্যর্থতার তালিকায় নাম ওঠে তার।
৫ বছর পর, ১৯৮৭তে একাধিক যন্ত্রপাতি-সহ ১৫০ কেজির স্যাটেলাইট এসআরওএসএস ১ পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়।
১৯৯৭ সালে ফের ইনস্যাটের নতুন সংস্করণ ইনস্যাট-২ডি পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছায়। কিন্তু ৪ মাসের মধ্যেই ইনস্যাট ১এ-র মতোই কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
২০০৬ সালে জিওসিঙ্ক্রোনাস স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল, জিএসএলভি ইনস্যাট-৪সি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। ২২০০ কেজি ওজনের স্যাটেলাইটটি দেশের প্রথম ভারী কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট ছিল। মিশন ব্যর্থ হয়।
এরপর ২০১০সালে ২৩১০ কেজি ওজনের জিস্যাট-৫পি স্যাটেলাইট নিয়ে রওনা দেয় জিএসএলভি-এফ০৬। এই মিশনটিও ব্যর্থ। পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছতেই পারেনি জিএসএলভি-এফ০৬।
বছর দুই আগে, ২০১৭ সালে সাব-জিওসিঙ্ক্রোনাস ট্রান্সফার অরবিটের উদ্দেশে আইআরএনএসএস স্যাটেলাইট নিয়ে রওনা দেয় পিএসএলভি।
সবটাই পরিকল্পনা মাফিকই চলছিল। কিন্তু পিএসএলভি থেকে স্যাটেলাইটটি আলাদা হওয়ার সময়ই সমস্যা দেখা দেয়। ব্যর্থ হয় মিশন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সীমান্তের ওপারে ওঁৎ পেতে ২৩০ জঙ্গি! অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখল ভারত]

তারপরই তালিকায় রয়েছে চন্দ্রযান ২’এর ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণের আগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া। তবে অন্যান্য ব্যর্থতাগুলির সঙ্গে এক সারিতে একে ফেলা যাবে কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। আর এসবের পরও ইসরোর সাফল্যের গ্রাফ উর্ধ্বমুখী হবে, এই আশা-ভরসা আছে সকলেরই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement