সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিরসায় শ্মশানের স্তব্ধতা। হিসারে উল্লাস। রাম রহিম শ্রীঘরে গেলেও বেকসুর খালাস পেয়ে গেলেন আরও এক স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামপাল দাস। হরিয়ানার হিসারের এই গডম্যানকে রেহাই দিয়েছে বিশেষ আদালত। ১১ বছর আগে একটি খুনের ঘটনায় জেলবন্দি ছিলেন এই বাবা। তবে তার বিরুদ্ধে আরও কিছু মামলা চলতে থাকায় এখনই ছাড়া পাচ্ছেন না রামপাল।
[নারীসঙ্গ আর ভোগে মত্ত রাম রহিমের কেমন কাটছে জেলে?]
যে মামলায় ২০১৪ সালের নভেম্বরে রামপালকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল পুলিশ। রামপালের আশ্রমের অনেকে আগেই গুরুর অনুগামীরা পুলিশকে আটকে দেয়। রামপালকে গ্রেপ্তার করতে কালঘাম ছুটে গিয়েছিল পুলিশের। তার অনুগামীর মানবশৃঙ্খল করে পুলিশ ও সেনাকে আটকে দিতে চেয়েছিল। সৎলোক আশ্রমে কয়েক দিন ধরে দু পক্ষের খণ্ডযুদ্ধ চলার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল রামপালকে। মৃত্যু হয়েছিল ৬জনের। জেলবন্দি রামপালের বিচার চলছিল হিসারের বিশেষ আদালতে। এই ঘটনায় দুটি মামলা থেকে তাকে অব্যাহত দেন হিসারের বিশেষ আদালতের বিচারক মুকেশ কুমার। বিচারক জানান ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রামপালের বিরুদ্ধে মেলেনি। তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হোক। রামপাল মুক্তি পাওয়ার খবরে উল্লসিত তাঁর চেলারা। ওই ধর্মগুরুর আইনজীবীর বক্তব্য, সত্যের জয় হয়েছে। গডম্যান রামপাল যে নির্দোষ তা আদালত প্রমাণ করল। ২২ মাস কারাবাসের পর রেহাই পেলেন এই রামপাল।
[রাম রহিমের গুন্ডাদের তাণ্ডব রুখে দেশবাসীর কুর্নিশ কুড়োচ্ছেন ইনি]
২০০৬ সালে রোহতকের একটি গ্রামে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল রামপালের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। অভিযোগ, হিংসার নেপথ্যে হাত ছিল ওই বিতর্কিত ধর্মগুরুর। আদালত এই তত্ত্ব এদিন মানতে চায়নি। ১১ বছর আগের মামলা থেকে রেহাই পেলেও গারদ থেকে মুক্তি মিলছে না রামপালের। তার বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ রয়েছে। সেগুলির বিচার এবার শুরু হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.