সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাজমহল আসলে তাজমহল নয়। ওটা শিবের মন্দির। আসল নাম তেজো মহালায়া। ওটা মুসলিমদের তৈরি সৌধ নয়, বরং প্রাচীনকালে হিন্দুদের তৈরি শিব মন্দির। এতদূর পড়ে ঘাবড়ে যাবেন না। ভাববেন না আপনার জানা ইতিহাসটা ভুল। এটা পুরাতত্ত্ববিদদের নতুন কোনও আবিষ্কার নয়। এটা শিব সেনার দাবি। হিন্দুত্ববাদী দলটির দাবি, তাজমহল কোনও মুসলিম সৌধ নয়, হিন্দু মন্দির। শুধু তাই নয়, তাজমহল চত্বরে শিব ভক্তরা প্রত্যেক সোমবার সোমবার শিবের পুজো এবং যজ্ঞের আয়োজন করতে চাই।
দিন তিনেক আগাই শিব সেনার আগ্রা শহর কমিটির সভাপতি ভিনু লাভানিয়া হুমকি দিয়েছেন, “তাজমহল কোনও মুসলিম সৌধ নয়। এটা তেজো মহালয়া, ভগবান শিবের মন্দির। আমরা গোটা শ্রাবণ মাসজুড়ে প্রতি সোমবার তাজমহলে ঢুকে যজ্ঞ এবং পুজো করতে চাই।” শিব সেনার ওই নেতা প্রশাসনকে কার্যত হুমকি দিয়েছেন। সোমবার যে কোনওভাবে তাঁরা মন্দিরে ঢুকবেনই। প্রশাসন বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার ফল ভাল হবে না বলেও হুমকি দেন শিব সেনার আগ্রা জেলার সভাপতি।
শিব সেনার এই হুমকির পর নড়েচড়ে বসেছে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। এএসআই-এর তরফে যোগী সরকারকে একটি চিঠি লেখা হয়েছে। চিঠিতে তাজমহলের নিরাপত্তা বাড়াতে অনুরোধ করা হয়। এএসআই জানায়, ১৯৫৮ সালের প্রত্নতত্ত্ব আইন অনুযায়ী কোনও পুরাতাত্ত্বিক সৌধ বা ঐতিহ্যশালী নির্মাণে পুজো বা কোনও ধর্মীয় আচরণ নিষিদ্ধ। এএসআইয়ের এই চিঠি পেয়ে যোগী প্রশাসন তাজমহলের নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, তাজমহল ঘিরে যাতে অযাচিত বিতর্কের সৃষ্টি না হয়, তা নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
যদিও, তাজমহলের ভিতরে পুজো অর্চনা নতুন কিছু নয়। গতবছরই তাজমহলে ঢুকে পড়ে রীতিমতো পুজোর আয়োজন করে ফেলেছিল মহিলাদের একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এর আগে ২০০৮ সালেই শিবসেনা কর্মীদের একটা দল তাজমহলে ঢুকে পড়েছিল, এবং সেখানে যজ্ঞের আয়োজন হয়েছিল। তবে, এবার তেমন কিছু হওয়া আটকাতে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কে পি সিং জানিয়েছেন, “এএসআই-এর অনুরোধ অনুযায়ী নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এমন কোনও কিছুই আমরা হতে দেব না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.