Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hijab

হিজাব বিতর্কের মাঝেই কর্ণাটকে খুন বজরং দলের নেতা, ‘মুসলিম গুন্ডাদের কাজ’, মন্তব্য মন্ত্রীর

অশান্তির আশঙ্কায় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন।

Security tightened in Karnataka's Shivamogga after 'murder' of Bajrang Dal leader | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 21, 2022 11:58 am
  • Updated:February 21, 2022 11:58 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিজাব বিতর্কের মাঝেই কর্ণাটকে (Karnataka) খুন বজরং দলের নেতা। রবিবার রাতের এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল শিবমোগায়। অশান্তির আশঙ্কায় এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এহেন ঘোরাল পরিস্থিতিতে কর্ণাটকের মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পার মন্তব্য, ‘এই কাজ মুসলিম গুন্ডাদের’।

[আরও পড়ুন: আহমেদাবাদ বিস্ফোরণের রায়ে ‘ধর্মীয় উসকানিমূলক’ পোস্ট BJP-র! কড়া পদক্ষেপ করল টুইটার]

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাত ৯.৩০ নাগাদ খুন হন বজরং দলের যুবকর্মী হর্ষ। তাঁকে ঘিরে ধরে ছুরি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় আক্রান্ত ওই নেতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিকে, ঘটনার খবর জানাজানি হতেই শিবমোগা শহরের সিগেহাট্টি এলাকায় প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। চলে ভাঙচুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে দ্রুত তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে বিশেষ তদন্তকারী দল।

Advertisement

এদিকে, এই ঘটনার নেপথ্যে মুসলিম গুন্ডারা রয়েছে বলে অভিযোগ কর্ণাটকের গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পার। সোমবার তিনি দাবি করেন, রাজ্যের কংগ্রেস নেতা ডি কে শিবকুমারের উসকানিতেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ঈশ্বরাপ্পার কথায়, “তাঁকে (হর্ষ) মুসলিম গুন্ডারা খুন করেছে। আর এমনটা শিবকুমারের মন্তব্যের জেরেই হয়েছে। তাঁর জাতীয় পতাকা খুলে গেরুয়া নিশান ওড়ানো নিয়ে মন্তব্যের জেরে সাহস পেয়েছে মুসলমান দুষ্কৃতীরা।”

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা নিয়ে কর্ণাটকের পরিস্থিত উত্তপ্ত। ক্রমে সেই বিতর্ক সারা দেশেই মাথাচাড়া দিচ্ছে। অনেক দিন ধরেই এই বিতর্ক চলছিল। তা নতুন মাত্রা পায় কয়েক দিন আগে। একটি স্কুলে হিজাব পরে ক্লাসে ঢোকার চেষ্টা করে কয়েকজন ছাত্রী। পালটা গেরুয়া চাদর গলায় জড়িয়ে হাজির হয় পড়ুয়ারা। তারপরই শুরু হয় তুমুল বিতর্ক। ওই রাজ্যের বিজেপি সরকার জানিয়ে দেয়, যে সব পোশাক সমতা, অখণ্ডতা ও আইন-শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তা পরা যাবে না। স্বাভাবিক ভাবেই এই নির্দেশ ঘিরে নতুন করে চড়তে থাকে বিতর্কের পারদ। এহেন পরিস্থিতিতে বজরং দলের নেতা খুনে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠল।

[আরও পড়ুন: সুপ্রিম নির্দেশে পিছু হটল যোগী সরকার, প্রত্যাহার CAA বিক্ষোভে ক্ষতিপূরণ আদায়ের নোটিস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement