Advertisement
Advertisement
পাঞ্জাব

সংশোধনাগারেই খুন শিখ ধর্মগ্রন্থ অবমাননার দায়ে বন্দি, অশান্তির আশঙ্কা পাঞ্জাবে

নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা রাজ্য৷

Security beefed up after the murder of dera sacha sauda follower
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 23, 2019 11:22 am
  • Updated:June 23, 2019 11:27 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধনাগারে বন্দি অবস্থায় খুন হল শিখ ধর্মগ্রন্থ গ্রন্থসাহিব অবমাননায় ধৃত মহিন্দর পাল সিং বিট্টু৷ শনিবার সন্ধেবেলা পাতিয়ালার নিউ নভ সংশোধনাগারের ভিতর থেকে তার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে৷ সংশোধনাগারের অন্য বন্দিদের অভিযোগ,  এক বন্দি গুরুসেওয়াক এবং মহিন্দর সিংয়ের সঙ্গে আচমকা বচসা শুরু হয়৷ কিছুক্ষণের মধ্যেই তা হাতাহাতির রূপ নেয়৷ উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে জানালা থেকে লোহার শিক খুলে নেয় গুরুসেওয়াক৷ মহিন্দরকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে৷ জেলের ওয়ার্ডেন এবং অন্য পুলিশকর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন৷ রক্তাক্ত অবস্থায় মহিন্দরকে উদ্ধার করে জেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু হয়৷ তবে তারই মাঝে মারা যায় সে৷

[ আরও পড়ুন: ইউপিএ আমলেই ফৌজি বিমান ক্রয়ে ঘুষ ৩৩৯ কোটি, তদন্তে সিবিআই]

প্রশ্ন হল কে এই মহিন্দর পাল বিট্টু? ২০১৫ সালে পাঞ্জাবের ফরিদপুরের বারগারি এলাকায় শিখ ধর্মগ্রন্থ গ্রন্থসাহিবের ছেঁড়া পাতা পড়ে থাকতে দেখা যায়৷ তা দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষজন৷ ধর্মগ্রন্থ অবমাননার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা৷ পাঞ্জাবের একাধিক জায়গায় চলে পথ অবরোধ৷ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় অবরোধ তুলতে ঘটনাস্থলে পৌঁছান পুলিশকর্মীরা৷ অবরোধ তুলতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে পুলিশের৷ বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে গুলি চালায় পুলিশ৷ তাতে দুজন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়৷ জখম হন অনেকেই৷ প্রতিবাদে আগুনে যেন ঘৃতাহুতির মতো কাজ করে এই মৃত্যু৷ বিক্ষোভকারীদের প্রতিবাদ আরও বড়সড় আকার ধারণ করে৷ বাধ্য হয় পরিস্থিতি সামাল দিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হয়৷ শুরু হয় ধরপাকড়৷ গ্রন্থসাহিব অবমাননার দায়ে গ্রেপ্তার করা হয় মহিন্দর পাল বিট্টুকে৷ এর ঠিক চার বছর বাদে জেলের মধ্যেই খুন করা হল তাকে৷ তবে কী কারণে খুন করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: অসুস্থ মহিলাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা, আমেঠিবাসীর মন জয় মানবিক স্মৃতির]

প্রশাসনের আশঙ্কা, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের অশান্ত হয়ে উঠতে পাঞ্জাব। তাই রাজ্যজুড়ে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়েছে৷ দশ কোম্পানি বিএসএফ ও দুই কোম্পানি র‍্যাফ চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার জেরে জেলের সুপার ও ব্যারাক-ইন-চার্জকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement