সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের পর থেকেই জল্পনার কেন্দ্রে আদানি গোষ্ঠী। কর্পোরেট কারসাজির অভিযোগে বিদ্ধ গৌতম আদানি ও তাঁর দাদা বিনোদ আদানি। বণিক মহলের পাশাপাশি রাজনীতির পুকুরেও এনিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (সেবি বা SEBI) জানিয়েছে, ২০১৬ থেকেই আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
সোমবার শীর্ষ আদালতে সেবি জানায়, আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ২০১৬ সাল থেকেই বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা তদন্ত করছে বলে একটি পিটিশনে করা দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। একই সঙ্গে আদালতে ‘তদন্তের স্বার্থে’ আরও ছ’মাসের সময় চায় সেবি। তবে আদালত তিনমাসের বেশি সময় দিতে রাজি হয়নি বলেই খবর।
বলে রাখা ভাল, গত মার্চ মাসে পুরো ইস্যুতে কোনওরকম বেনিয়ম হয়েছে কিনা, আদানিরা স্টক মার্কেটকে কোনওভাবে প্রভাবিত করেছেন কিনা, হিন্ডেনবার্গের (Hindenberg Report) রিপোর্টের সারবত্তা কতটা, সবটা খতিয়ে দেখতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেয় সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে পুরো ঘটনায় বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবিকে ২ মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে আদানি গ্রুপকে নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। Adani Group: How The World’s 3rd Richest Man Is Pulling The Largest Con In Corporate History শীর্ষক ওই রিপোর্টে আদানি (Adani) গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ার বাজারে কারচুপি, অ্যাকাউন্ট ফ্রডের অভিযোগ আনা হয় তারপর থেকেই সরব হয়েছিল কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলো। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) নীরব থাকায় কটাক্ষ করে রাজনৈতিক দলগুলি। যদিও গেরুয়া শিবিরের দাবি, গোটাটাই ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র। এমন ডামাডোলের আবহে ক্রমশ ‘গরিব’ হচ্ছেন গৌতম আদানি (Gautam Adani)। বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় যেমন নিচে নামছেন বিতর্কিত শিল্পপতি, তেমনই তাঁর সংস্থাগুলিরই সম্পদের পরিমাণ হুড়মুড় করে কমছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.