সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দু’দশকের পুরনো মামলায় মুখ পুড়ল আম্বানিদের। সম্পত্তি হস্তান্তরে বেনিয়মের অভিযোগে মুকেশ এবং অনিল আম্বানির (Anil Ambani) সংস্থাকে ২৫ কোটি টাকা জরিমানা করল সেবি। আম্বানিদের সম্পত্তির নিরিখে এই সংখ্যাটা কার্যত নগণ্য মনে হলেও, সেবির সিদ্ধান্ত আম্বানিদের জন্য ব্যবসায়িক দিক থেকে ধাক্কা হতে পারে।
আম্বানিদের দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বহু পুরনো অভিযোগ ছিল, ধীরুভাই আম্বানির সম্পত্তি ভাগাভাগির সময় বেশ কিছু ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মানা হয়নি। সম্পত্তি হস্তান্তর সংক্রান্ত হলফনামা সময়মতো প্রকাশ করা হয়নি। সেই অভিযোগে মুকেশ আম্বানি, নীতা আম্বানি, অনিল আম্বানি (Anil Ambani), টিনা আম্বানি, কেডি আম্বানি এবং পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে ৮৫ পাতার একটি রিপোর্ট পেশ করেছে সেবি। তাতেই আম্বানিদের বিরুদ্ধে মোট ২৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ধীরুভাই আম্বানির সাম্রাজ্য দু’ভাগ হওয়ার পর মুকেশ আম্বানি এবং অনিল আম্বানির ব্যবসা সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে এগিয়েছে। এই মুহূর্তে দেশের ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ আম্বানি। তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৮৪.৫ বিলিয়ন ডলার যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬ লক্ষ ২৫ হাজার কোটি টাকা। প্রসঙ্গত, কেবল দেশেরই নয়, এশিয়ারও ধনীতম ব্যক্তি আম্বানি। দেশের রপ্তানির ৮ শতাংশই হয় তাঁর সংস্থা রিলায়েন্সের মাধ্যমে। তারাই দেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারী। শুল্ক এবং আবগারি শুল্ক থেকে ভারতের মোট আয়ের ৫ শতাংশই রিলায়েন্স দেয়।
অন্যদিকে অনিল এই মুহূর্তে দেউলিয়া। কথায় আছে, চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়! এই প্রবাদ পুরোপুরি খেটে যায় অনিল আম্বানির (Anil Ambani) ক্ষেত্রে। যিনি কিনা একসময় ছিলেন বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তি। কালের ফেরে আজ তাঁর দেউলিয়া অবস্থা। সব কোম্পানি বন্ধ। বন্ধ রোজগারের সব রাস্তাও। তাঁর তিন সংস্থা রিলায়েন্স কমিউনিকেশন, রিলায়েন্স টেলিকম ও রিলায়েন্স ইনফ্রাটেলের ব্যাংক অ্যাকাউন্টকে দিল্লি হাই কোর্টে (Delhi High Court) ‘জালিয়াতি’ (Fraud) হিসেবে চিহ্নিত করেছে এসবিআই। পরিস্থিতি এতটাই সঙ্গীন যে সামান্য উকিলের খরচ মেটাতে তাঁকে নিজের গয়না বিক্রি করতে হচ্ছে। এই সামান্য জরিমানার অঙ্ক মেটাতেও হিমশিম খেতে হবে তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.