ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রথম সারির কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার দল ছাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা চলছিল। এবার নিজেই টুইটারে বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন সিন্ধিয়া। তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের ধারণা, সিন্ধিয়ার কংগ্রেস ত্যাগ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। দীর্ঘদিন ধরেই দলের সঙ্গে তাঁর মতপার্থক্য চলছে। তাছাড়া এই মুহূর্তে সিন্ধিয়া দলের কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদেও নেই। তাতেই তাঁর দলত্যাগের জল্পনা বাড়ছে।
কিন্তু, কী এমন করলেন সিন্ধিয়া? একসময় তাঁর টুইটারের বায়োতে জ্বলজ্বল করতে কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদকের পদের কথা। তা অবশ্য আগেই উধাও হয়েছে। এতদিন, তাঁর টুইটার বায়োতে ছিল, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কোন কোন দপ্তরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তিনি ছিলেন, তাও লেখা ছিল টুইটারে। কিন্তু, সোমবার দেখা যায়, টুইটার থেকে সেই বায়ো ডিলিট করে দিয়েছেন সিন্ধিয়া। পরিবর্তে নিজেকে তিনি জনগণের সেবক এবং ক্রিকেট প্রেমী হিসেবে বর্ণনা করছেন। এই বায়ো ডিলিট করার ফলে সিন্ধিয়ার টুইটার অ্যাকাউন্টে কংগ্রেস সম্পর্কিত কোনও তথ্যই থাকল না। এক ঝলকে তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট দেখলে বোঝাই যাবে না, যে তিনি কংগ্রেসের নেতা। কারণ, তাঁর অ্যাকাউন্টে আর কোথাও কংগ্রেস শব্দটি নেই। বর্তমান রাজনীতিতে টুইটার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্ল্যাটফর্ম। রাজনৈতিক নেতানেত্রীরা টুইটারের মাধ্যমেই নিজেদের মতামত জানাতে পছন্দ করেন। এর মধ্যে সিন্ধিয়ার এই পদক্ষেপ নেতা গুঞ্জন ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সিন্ধিয়ার সঙ্গে কংগ্রেসের দূরত্ব অবশ্য অনেকদিন ধরেই। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদ না পাওয়ার পর থেকেই দলের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। সদ্য, তাঁর অসন্তোষ আরও বাড়ে তাঁকে মধ্যপ্রদেশ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি না করায়। সদ্য উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক পদ থেকেও সরানো হয়েছে তাঁকে। গান্ধীদের সঙ্গেও আর নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন না সিন্ধিয়া। তাছাড়া লোকসভায় নিজের হারের জন্যও দলের অন্তর্দ্বন্দ্বকে দায়ী করেন তিনি। সম্প্রতি একাধিক ইস্যুতে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারেরই সমালোচনা করেন তিনি। মোদি সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিলকেও সমর্থন করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.