Advertisement
Advertisement
CoVaxin

ট্রায়ালের তথ্য না দেখে টিকা নেওয়া খুবই বিপজ্জনক! কোভ্যাক্সিন নিয়ে মত নোবেলজয়ীর

ট্রায়ালের তথ্য প্রকাশ নিয়ে সরকারি হস্তক্ষেপের দাবি।

Scientist says taking vaccine without trial may be proven dangerous | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:January 13, 2021 11:59 am
  • Updated:January 13, 2021 3:59 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অতিমারি পরিস্থিতিতে দ্রুত করোনার ভ্যাকসিন (Corona Vaccine)  আনা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সম্পূর্ণ তথ্য হাতে না-আসা অবধি সেই টিকা ভরসাযোগ্য নয়। টিকা নেওয়ার পর কার কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিক মানের জার্নালে প্রকাশ করা প্রয়োজন। এমনটাই মনে করছেন নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী ভেঙ্কটরমন রামাকৃষ্ণন (ভেঙ্কি)।

সম্প্রতি আহমেদাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একটি অনুষ্ঠানে ভেঙ্কি জানিয়েছেন, ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআরের উদ্যোগে কোভ্যাক্সিন (CoVaxin) তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয়, ট্রায়ালের কোনও তথ্য নেই। সে নিয়ে তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করেছেন। তাঁর কথায়, কোনও ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে ট্রায়ালের রিপোর্ট দেখে নেওয়া আবিশ্যিক কর্তব্য। ২০০৯ সালে রাইবোজোমের গঠন নিয়ে কাজ করে রসায়নে নোবেল পেয়েছিলেন ভেঙ্কটরমন রামাকৃষ্ণন।

Advertisement

[আরও পড়ুন : যে মুসলিমদের দেশের ভ্যাকসিনে বিশ্বাস নেই তারা পাকিস্তানে যাক, নিদান বিজেপি বিধায়কের]

পড়ুয়াদের উদ্যেশে বক্তৃতার পর রামাকৃষ্ণন একটি ইংরেজি দৈনিকে জানিয়েছেন, “একজন বিজ্ঞানী হিসেবে বলতে পারি, যে টিকার ট্রায়ালই সম্পূর্ণ হয়নি, তার তথ্য জানান দরকার রয়েছে বই কি! এই বিষয়ে অবিলম্বে সরকারের হস্তক্ষেপ জরুরি।” তিনি আরও জানান, ভারতে বিজ্ঞানের অগ্রগতির জন্য কেন্দ্রের উচিৎ আরও বেশি অর্থ বরাদ্দ করা। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞানে গবেষণার মান পড়ছে বলে আশঙ্কা করছেন ভেঙ্কি।

উল্লেখ্য, কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা ও ট্রায়ালের তথ্য নিয়ে এর আগে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। ছাড়পত্র পাওয়ার পর তিনি বলছিলেন, ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন নিয়ে অযথা তাড়াহুড়ো করছে কেন্দ্র। একই সুর শোনা গিয়েছেন বহু বিরোধী নেতার গলাতেও। ছাড়পত্র পাওয়া দুটি টিকার কার্যকারিতা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও নীতি আয়োগ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে সাফ জানানো হয়, দুটি ভ্যাকসিনই ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত। কিন্তু নোবেলজয়ীর মতামত ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়ে আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিল।  

[আরও পড়ুন : সুরক্ষা নিয়ে চিন্তা! এখনই করোনার ভ্যাকসিন নিতে চান না বহু ভারতবাসী, বলছে সমীক্ষা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement