সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আকাশ-বাতাস শিশুদের খেলার জন্য ডাকলেও যাওয়ার জো নেই তাদের। সারাদিনের পড়ার চাপে অনেকেই আজ ভুলে গেছে বাড়ির পাশের মাঠকে। তাই তাদের জন্য সুখবর দিল কেন্দ্র। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই দেশজুড়ে ছাত্র-ছাত্রীদের সিলেবাসের বোঝা কমানো হচ্ছে। মঙ্গলবার এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল (Ramesh Pokjriyal Nishank) ।
বইয়ের ভারে প্রাণ ওষ্ঠাগত স্কুল পড়ুয়াদের। ব্যাগের বোঝা এত বেশি যে তার ভারে চাপা পড়ে যায় ছোট্ট শরীরটুকু। পড়ার চাপে মাঠে নেমে ফুটবল খেলা তো দূর অস্ত, পুকুরের জলে ঢিল ছুঁড়ে ব্যাঙাচি খেলতেও বোধহয় অনেকেই জানে না। পড়ুয়াদের জীবনের এই ভার কমাতে তৎপর হল কেন্দ্র। এদিন তিনি ট্যুইট করে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল বলেন “সাম্প্রতিক পরিস্থিতি, অভিভাবকদের আবেদনপত্রের অনুরোধ ও শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে সিলেবাস কমানোর কথা ভাবনা চিন্তা করছি। আগামী শিক্ষাবর্ষে এই সিলেবাস কম করা হতে পারে। আমি শিক্ষক, শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত যাঁরা রয়েছেন সবার কাছে আবেদন জানাচ্ছি তাঁরা যেন তাঁদের মতামত বা চিন্তা-ভাবনা আমাদের জানান। আমার টুইটার এবং ফেসবুক পেজেও তাঁরা মতামত শেয়ার করতে পারেন। এই মতামতগুলি আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই উপযোগী হবে।” এক্ষেত্রে কিভাবে সিলেবাসের বোঝা কমানো হবে তা নিয়ে CBSE, ICSE-র মত বোর্ডগুলির সঙ্গে আলোচনাতেও খুব শীঘ্রই বসতে চলেছেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। বিশেষত আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সিলেবাস কি হবে? সিলেবাসের কতটা নিয়ে পরীক্ষা হবে? তা নিয়ে প্রাথমিক স্তরে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে বলে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছিলেন যে, আগস্টের পরই স্কুল খোলা হতে পারে। যদিও এই বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো নেয়নি কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক । তবে লকডাউন পরবর্তী পর্যায় কিভাবে দেশজুড়ে স্কুল খোলা হবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গাইডলাইন তৈরি করেছে এনসিইআরটি। তা বেশ কয়েকদিন আগেই ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী। সূত্রের খবর, শুধু তাই নয়, স্কুল চালু করা হলে প্রথমে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের ক্লাস শুরু হতে পারে বলেও জানা গেছে। এর পাশাপাশি একদিনে সব পড়ুয়াদের স্কুলে আনার পরিবর্তে প্রত্যেকদিন ৩০ শতাংশ করে পড়ুয়া নিয়ে ক্লাস করানোর গাইডলাইন দিতে পারে এনসিইআরটি। তবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর মত ক্লাস গুলিতে পঠন-পাঠন না হলে কীভাবে পরীক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষাগুলি দেবে তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে শিক্ষক মহলে।
বিশেষত বিভিন্ন রাজ্য তথা CBSE, ICSE-র মত বোর্ডগুলিও আগামী বছরে এই বোর্ড পরীক্ষাগুলি নেবে। সে ক্ষেত্রে কোনও ভাইরাসের সংক্রমণ এবং তার জেরে চলা পরিস্থিতির জন্য অধিকাংশ স্কুলই দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর ক্লাস শুরু করতে পারেনি। অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হলেও অধিকাংশ শিক্ষাবিদদের মতে, ক্লাসরুমে যেভাবে পড়াশোনার খেয়াল রাখা হয় তা অনলাইনের ক্লাসে রাখা সম্ভব নয়। এমনকি অনলাইন ক্লাসে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দ্রুত সিলেবাসও শেষ করা যায়না। এখন যত তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ততই পড়াশোনার প্রতি জোর দেওয়া যাবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.