সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ যেন ঠিক বলিউডি ‘নেশা’ সিনেমার বাস্তব চিত্র। রিললাইফে কিশোর সাহিল প্রেমে পড়েছিল স্কুল শিক্ষিকা অনিতার। আর সেই প্রেমের জোয়ারে বয়ে গিয়েছিল অসম বয়সী ওরা দুজন। তবে সমাজের বিপরীত স্রোতে গিয়ে কিশোর বয়সের সেই প্রেমকে পরিণতি দিতে পারেনি তাঁরা। রিয়েল লাইফে শিক্ষিকা-ছাত্রের সেই পরিণয়কে পরিণতি দিতে মরিয়া গান্ধিনগরের যুগল।
গত এক বছর ধরেই জমে উঠেছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রর সঙ্গে শিক্ষিকার প্রেম। শিক্ষাঙ্গনে অসম বয়সি এই প্রেমে অস্বস্তিতে পড়েছিল স্কুল কর্তৃপক্ষ। তরুণী শিক্ষিকাকে ডেকে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও নিষেধাজ্ঞাই থামাতে পারেনি প্রেমকে। পরিবার ও স্কুলে বাধা পেয়ে তাই ১৪ বছরের ‘প্রেমিক’কে সঙ্গে নিয়ে পালাল ২৬ বছরের শিক্ষিকা। ঘটনাটি গুজরাতের গান্ধীনগরের। ওই স্কুল-শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গান্ধীনগর থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন নিখোঁজ ছাত্রর বাবা। ওই ছাত্রের বাবা এফআইআরে জানিয়েছেন, তাঁর ১৪ বছরের ছেলেকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গিয়েছে ওই শিক্ষিকা। শুক্রবার বিকেল চারটে থেকে খোঁজ মিলছে না তাঁর ছেলের। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বছর খানেক ধরেই নিখোঁজ ছাত্রের সঙ্গে একটু বেশিই ঘনিষ্ঠ ছিলেন অভিযুক্ত শিক্ষিকা।এই কারণে সম্প্রতি স্কুল কর্তৃপক্ষও তাদের ভর্ৎসনা করে।
ছেলেটির বাবার অভিযোগ, “এই সম্পর্ক যেহেতু মেনে নেওয়া হয়নি, তাই তারা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।” কিশোর ছাত্রকে নিয়ে শিক্ষিকার পালানোর ঘটনা বিরল হওয়ায় অবাক স্কুলের শিক্ষক মহল থেকে ছাত্রছাত্রী ও পরিজনরাও। অভিযুক্ত শিক্ষিকা কলোল শহরের দরবারি চাওয়ালের বাসিন্দা। কিশোরের বাবার দাবি, সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বাড়ি ফিরে তিনি দেখেন তাঁর ছেলে বাড়িতে নেই। স্ত্রী জানান, বিকেল চারটে নাগাদ ছেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। পাড়া ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে ফোন করেও খোঁজ মেলেনি। ওই শিক্ষিকাও তাঁর বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান। ইনসপেক্টর কে কে দেশাই জানিয়েছেন, দু’জনের কেউই মোবাইল ফোন নিয়ে যাননি। তাই তাদের খুঁজে বের করতে সময় লাগবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.