Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা চিকিৎসা

বেসরকারি হাসপাতালে কম খরচে করোনা চিকিৎসা সম্ভব? কেন্দ্রের কাছে জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট

আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের ।

SC wants governments reply on the plea on minimize corona treatment price

আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ শীর্ষ আদালতের ।

Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:June 6, 2020 1:27 pm
  • Updated:June 6, 2020 1:27 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে চিকিৎসার খরচ সাধারণতই বেশি, কিন্তু করোনার কালবেলাতেও কি সেই খরচে লাগাম লেগেছে? ‘সরকারি দামে’ কি বেসরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা সম্ভব? জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট। ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পের নির্ধারিত খরচ মেনেই আদতে বেসরকারি হাসপাতালগুলি বিল করা হচ্ছে কিনা, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তলব সুপ্রিম কোর্টের। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে জানাতে হবে যে কম খরচে করোনার চিকিৎসা সম্ভব কিনা।

প্রসঙ্গত এর আগে, সুপ্রিম কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। যেখানে মামলার আবেদনকারী, আইনজীবী সচিন জৈন করোনা চিকিৎসার বিলের ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলির রাশ টানার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার আরজি জানিয়েছিলেন। আবেদনকারীর বক্তব্য ছিল, বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে করোনা চিকিৎসার জন্য রোগীরা ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকা করে বিল গুনছেন। অথচ, অনেক হাসপাতালই রয়েছে, যারা কম খরচে সরকারের থেকে জমি পেয়েছিল। অতিমারির সময়ে নিজেদের মুনাফার জন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলি যাতে মানুষের উপর বিলের বোঝা না চাপায়, তদুপরি শুধুমাত্র চিকিৎসার প্রয়োজনীয় খরচই নেয়, সেদিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করার আবেদন জানিয়েছিলেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভোটমুখী বিহারে শরিকি কোন্দলে নাজেহাল শাসক শিবির, প্রশ্নে নীতীশের ভবিষ্যৎ]

তারই ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে, যেসব হাসপাতাল সরকারের কাছ থেকে নিখরচায় কিংবা কম খরচে জমি পেয়েছে, সেই হাসপাতালগুলিকে তারা কোনও নির্দেশ দিতে পারে কিনা। করোনা চিকিৎসায় ‘আয়ুষ্মান ভারত’ প্রকল্পে বেঁধে দেওয়া টাকা নিতে হাসপাতালগুলি রাজি আছে কিনা।

অন্যদিকে, বেসরকারি হাসপাতালগুলির আইনজীবী হরিশ সালভের বক্তব্য, অতিমারির সময়ে এমনিতেই রোগীরা কম আসছেন। হাসপাতালগুলির আয়ও প্রায় ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে। পাশাপাশি তাদের অন্য এক আইনজীবী মুকুল রোহাতগি জানিয়ে দেন, যারা ওই প্রকল্পের আওতায় পড়ছে না, সেসব রোগীদের থেকে কম টাকা নেওয়া সম্ভব নয়। পালটা সুপ্রিম কোর্ট এও জানিয়েছে যে, অতিমারির সময়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে সঠিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে হবে।

[আরও পড়ুন: ইডির দপ্তরে করোনার হানা! ৬ আধিকারিকের শরীরে মিলল মারণ ভাইরাসের সন্ধান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement